Thursday, June 23, 2011

সংযত দৃষ্টি

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

(হে নবী)আপনি মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গ হেফাযত করে। এটাই তাদের জন্য ভাল পথ নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন। ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৪:৩০] / সূরা- নূর: আয়াত ৩০

তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোন মাবুদ নেই

প্রতারক ও আত্মসাৎকারী শাসক

أَتَيْنَا ‏ ‏مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ ‏ ‏نَعُودُهُ فَدَخَلَ عَلَيْنَا ‏ ‏عُبَيْدُ اللَّهِ ‏ ‏فَقَالَ لَهُ ‏ ‏مَعْقِلٌ ‏ ‏أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَيَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَحْكَامِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً ‏ ‏فَلَمْ يَنْصَحْ ‏

 যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম জনগণের শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক বা আত্মসাৎকারী হিসেবে মরে, আল্লা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] , [মিশকাত: ৩৫১৭, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

সুস্পষ্ট ক্ষতি

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَىٰ حَرْفٍ ۖ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ ۖ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَىٰ وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। তাঁর দুনিয়াও গেল এবং আখেরাতও ৷ এ হচ্ছে সুস্পষ্ট ক্ষতি
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২২:১১] / সূরা- আল হাজ্ব: আয়াত ১১

নির্বোধ লোকদের মত ঈমান!

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

তাদের যখন বলা হয়, অন্য লোকেরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও ঠিক সেভাবে ঈমান আন, (তখন) তারা (মুনাফিকরা) বলে আমরাও কি নির্বোধ লোকদের মত ঈমান আনবো? (আসলে) নির্বোধ ত হচ্ছে এরা নিজেরাই, যদিও তারা তা বোঝে না (অর্থাৎ নিজেদের তারা বুদ্ধিমান ভেবে অভ্যস্ত)
________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২:১৩] / সূরা-বাকারা: আয়াত-১৩

নিজেকে পূণ্যবান হিসেবে জাহির করা

و عن زينب بنت ابلىْ سلمه قالت وَسُمِّيتُ ‏ ‏بَرَّةَ ‏ ‏فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالُوا بِمَ ‏ ‏نُسَمِّيهَا قَالَ سَمُّوهَا ‏ ‏زَيْنَبَ
_____________________
صحيح مسلم / كِتَاب ‏ ‏الْآدَابِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اسْتِحْبَابِ تَغْيِيرِ ‏ ‏الِاسْمِ الْقَبِيحِ إِلَى حَسَنٍ وَتَغْيِيرِ اسْمِ ‏ ‏بَرَّةَ ‏ ‏إِلَى ‏ ‏زَيْنَبَ ‏ ‏وَجُوَيْرِيَةَ ‏ ‏وَنَحْوِهِمَا

আমার নাম রাখা হয়েছিল ‘বাররা’ (অর্থ-পুণ্যবতী)। তখন রাসূল স. বললেনঃ নিজের পবিত্রতা নিজে জাহির করো না। তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান তা আল্লাহ তাআলা বেশী জানেন।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত যয়নব বিন্তে আবু সালামাহ থেকে বর্ণিত।  [মুসলিম] ,  [মিশকাত ৪৪৫০, অধ্যায়ঃ নাম রাখা সম্পর্কে বর্ণনা]

ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ’র কাছে সাহায্য চাওয়া

وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَاقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
হে মুমিনরা! তোমরা ধৈর্য্য নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ’র কাছে সাহায্য চাও  নামায প্রতিষ্ঠা করা নিশ্চয় একটি কঠিন কাজ, কিন্তু যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের কথা আলাদা। যারা জানে, একদিন তাদের সবাইকে তাদের মালিকের সামনাসামনি হতে হবে এবং তাদের সবাইকে তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  কোরআন। সূরা-বাকারা। আয়াত  ৪৫-৪৬

কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া

حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ عِنْدَهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَهُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَبِيعُهُ بِرُخْصٍ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏لَا تَشْتَرِي وَلَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ فَإِنَّ الْعَائِدَ فِي صَدَقَتهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ ‏
_____________________
صحيح بخاري  ‏ ‏بَاب ‏ ‏هَلْ يَشْتَرِي الرَّجُلُ صَدَقَتَهُ ‏ ‏وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ صَدَقَتَهُ غَيْرُهُ ‏ ‏لِأَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّمَا نَهَى الْمُتَصَدِّقَ خَاصَّةً ‏ ‏عَنْ الشِّرَاءِ وَلَمْ يَنْهَ غَيْرَهُ

 আমি আল্লাহর রাস্তায় এক গাজীকে বাহন হিসেবে একটি ঘোড়া দিয়েছিলাম। সে তাকে (সেই ঘোড়াকে) অযত্নে নষ্ট করে ফেলল। আমি তা কিনতে ইচ্ছে করলাম এবং ভাবলাম সে তা সস্তায় বেচে দিবে। তারপর আমি এ ব্যাপারে নবী স. কে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি স. বললেন তা কিনবে না এবং তোমার দান তুমি ফেরত নিবে না- যদিও সে তোমাকে এক দিরহামও ফেরত দেয়। কেননা, নিজের দান ফেরত গ্রহণকারী হল সেই কুকুরের মত যে নিজের বমি ফেরত খায়!” আরেক বর্ণনায় আছে, তুমি তোমার দান ফেরত নিয়ো না। কেননা, যে নিজের দান ফেরত নেয়, সে যেন নিজের বমি ফেরত খায়। 
__________________________________________
তথ্য সূত্র: উমার ইবনে খাত্তাব থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] , [মিশকাত:১৮৫৮, অধ্যায়: যে নিজের দান ফিরিয়ে নেয় না]

শাসক হওয়ার আকাঙ্খা পোষণকারীকে শাসক নিযুক্ত করা ইসলাম সম্মত নয়

‏دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنَا وَرَجُلَانِ مِنْ بَنِي عَمِّي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِّرْنَا عَلَى بَعْضِ مَا وَلَّاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ الْآخَرُ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ ‏إِنَّا وَاللَّهِ لَا نُوَلِّي عَلَى هَذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهُ وَلَا أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏النَّهْيِ عَنْ طَلَبِ ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏ ‏وَالْحِرْصِ عَلَيْهَا
হযরত আবু মুসা র. বলেন, একবার আমি ও আমার দুজন চাচাত ভাই নবী স. এর কাছে গেলাম। তখন সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহ’র রাসূল! আল্লাহ আপনাকে যে সব কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনি আমাদেরকেও  তার  মধ্যে হতে কোন একটির শাসক হিসেবে নিযুক্ত করুন। এর পর দ্বিতীয়জনও এক-ই রকম কথা বলল।

উত্তরে রাসূল স. বললেন: 
আল্লাহ’র কসম! আমরা এ কাজে (শাসক পদে)  এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার প্রার্থি হয় এবং ঐ ব্যক্তিকেও না, যে তার (শাসন ক্ষমতার) জন্য লালায়িত। অন্য এক রেওয়াতে আছে, নবী স. বললেন, আমরা আমাদের কোন কাজেই এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার আকাঙ্খা করে।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  বুখারী ও মুসলিম ,  [মিশকাত, ৩৫১৪, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

ইনসাফ ও আমানত


إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন তা করবে ন্যায়ইনসাফের  ভিত্তিতে। আল্লাহ তোমাদের মঙ্গলময় উপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
 ___________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪:৫৮] / সূরা-নিসা : আয়াত ৫৮

কঠিন সময়ে সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা

من تمسك بسنتى عند فساذ امتى فله اجر مائت شهيد

যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ে যাবার কালে আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য একশ শহীদের সওয়াব রয়েছে।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:বায়হাকি, কিতাবুজ-জিহাদ

Thursday, June 9, 2011

কোরআনের অনুসরন ও ধৈর্য

وَاتَّبِعْ مَا يُوحَىٰ إِلَيْكَ وَاصْبِرْ حَتَّىٰ يَحْكُمَ اللَّهُ ۚ وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ

(হে নবী) আপনার উপর যে পথনির্দেশনা (কোরআন) অবতীর্ণ করা হয়েছে আপনি তার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন, যে পর্যন্ত আল্লাহ কোন ফায়সালা না করেন, (কেননা) তিনিই হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারি।
___________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [১০:১০৯] / সূরা-ইউনুস: আয়াত ১০৯


বিপদ ও মৃত্যু কামনা

‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ مِنْ ضُرٍّ أَصَابَهُ فَإِنْ كَانَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتْ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتْ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي
_______________________
   صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَرْضَى ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏تَمَنِّي الْمَرِيضِ الْمَوْتَ

তোমাদের কেউ যেন তাঁর উপর যে বিপদ আপদ পৌছেছে তার কারণে মৃ্ত্যু কামনা না করে। অগত্যা তা (মৃত্যু কামনা) যদি সে করতেই চায়, তবে সে যেন বলে “ হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখ যে পর্যন্ত জীবন আমার জন্য কল্যানকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যানকর হয়”।
 ________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আনাস থেকে বর্ণীত। [বুখারী, কিতাবূল মারদা] ও [ মুসলিম]


পুণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব

تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿١﴾

পুণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
 ______________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৬৭:০১] / সূরা-মূলক : আয়াত এক

রাসূল স. বললেন “....সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে....”

قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَعَظْتَنَا مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَاعْهَدْ إِلَيْنَا بِعَهْدٍ فَقَالَ ‏ ‏عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا وَسَتَرَوْنَ مِنْ بَعْدِي اخْتِلَافًا شَدِيدًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا ‏ ‏بِالنَّوَاجِذِ ‏ ‏وَإِيَّاكُمْ وَالْأُمُورَ الْمُحْدَثَاتِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
 _____________________
سنن إبن ماجه / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمُقَدِّمَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اتِّبَاعِ سُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ ‏

রাসূল স. আমাদের নামায পড়ালেন। তারপর আমাদের মুখের দিকে মুখ ফিরিয়ে আমাদের জন্য এমন মর্মস্পর্শী নসীহত করলেন যা শুনে আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত ও হৃদয়গুলো বিগলিত হল। এসময় একজন বলে উঠলো “ হে রাসূল আল্লাহ!  এ যেন বিদায় গ্রহণকারীর শেষ নসীহত! আমাদের আরও কিছু নসীহত দিন!” তখন নবী স. বললেন “ তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি এবং (ইমাম বা নেতার কথা) শুনতে ও (তাঁর) অনুগত থাকতে উপদেশ দিচ্ছি, এমনকি সে (ইমাম বা নেতা) যদি হাবশী চাকরও হয়!”

“আমার (মৃত্যুর) পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অল্পদিনের মধ্যেই অনেক মতভেদ দেখবে, তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। অতএব, সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত-ই পথভ্রষ্টতা
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া থেকে বর্ণিত। [আহমদ], [আবু দাউদ] , [তিরমিযী ][ ইবনে মাজাহ], [নাসাঈ], [মিশকাত -১৫৮]

যারা মাপে কম দেয়..

وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ ﴿١﴾

ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়।
 __________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৮৩:০১] / সূরা-আল মুতাফ্ফিফিন: আয়াত এক