Tuesday, May 31, 2011

বিদেশি ভাষা শেখার গুরুত্ব

‏أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنْ أَتَعَلَّمَ لَهُ كَلِمَاتٍ مِنْ كِتَابِ ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏عَلَى كِتَابِي قَالَ فَمَا مَرَّ بِي نِصْفُ شَهْرٍ حَتَّى تَعَلَّمْتُهُ لَهُ قَالَ فَلَمَّا تَعَلَّمْتُهُ كَانَ إِذَا كَتَبَ إِلَى ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏كَتَبْتُ إِلَيْهِمْ وَإِذَا كَتَبُوا إِلَيْهِ قَرَأْتُ لَهُ كِتَابَهُمْ ‏
_____________________
سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَطْعِمَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي تَعْلِيمِ ‏ ‏السُّرْيَانِيَّةِ

যায়েদ ইবনে সাবেত থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল স. আমাকে সুরিয়ানী ভাষা শেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য একটি রেওয়াতে আছে- তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমি ইহুদীদের লিখা (ভাষা) শিখে নেই। তিনি আরও বলেছেনঃ অর্ধেক মাস যেতে না যেতেই আমি তা শিখে ফেললাম। ফলে রাসূল স. যখন-ই ইহুদিদের চিঠি দিতেন তখন আমিই লিখে দিতাম। আর ইহুদীরা যখন তাঁকে চিঠি দিত তখন আমি তা পড়ে শুনাতাম।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: যায়েদ ইবনে সাবেত  . থেকে বর্ণিত। [ তিরমিযী, কিতাবুল আতঈমাহ], [মিশকাত ৪৪৫৪, অধ্যায়: সালাম প্রসঙ্গ]

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবকিছুই আল্লাহ তাআলার তাসবীহ করছে

سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿١﴾

যমীন ও আসমানসমূহের প্রতিটি জিনিস-ই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও অতিশয় বিজ্ঞ।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৫৭:০১] / সূরা- আল হাদীদ: আয়াত এক


যে প্রথমে সালাম দেয়

ان اولى الناس بالله من بدأ باسلام
_____________________
رواه احمد ولترمذى وابود اود

রাসূল স.  বলেছেন " সেই ব্যক্তিই আল্লাহ তাআলার বেশি কাছে যে প্রথমে সালাম করে। "
 _____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ], [ তিরমিযী], [আহমেদ], [মিশকাত৪৪৪১, অধ্যায়ঃ সালাম প্রসঙ্গ]

ভ্রাতৃত্ব্ববোধ

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏لَا يُؤْمِنُ ‏ ‏أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِيمَانِ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مِنْ الْإِيمَانِ أَنْ يُحِبَّ لِأَخِيهِ ‏ ‏مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ

নবী স. বলেছেন “ তোমাদের মধ্যে কেউ মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
 ____________________________________________
তথ্য সূত্র: মুসাদ্দাদ র. ও হুসাইন আল মুআল্লিম র. আনাস র. থেকে বর্ণিত। [বুখারী: কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ:  নিজের জন্য যা পছন্দিয় ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করা ঈমানের অংশ, হাদিস  ১২ ]

আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ করার কেউ নেই!

سَوَاءٌ مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ ﴿١٠﴾
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ ﴿١١﴾

তোমাদের মধ্যে কেউ গোপনে কথা বলুক বা তা সশব্দে প্রকাশ করুক, রাতের অন্ধকারে সে আত্নগোপন করুক বা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচরণ করুক, সবাই তাঁর (আল্লাহ তাআলার) কাছে সমান। তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের আগে ও পরে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
___________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [১৩: ১০-১১ ] / সূরা আর রাদ-: আয়াত দশ থেকে এগারো


দুটি অভিশপ্ত কাজ!

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏اتَّقُوا اللَّاعِنَيْنِ قَالُوا وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي ‏ ‏يَتَخَلَّى ‏ ‏فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‏
_____________________
سنن أبي داؤود / ‏كِتَاب ‏ ‏الطَّهَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الْمَوَاضِعِ الَّتِي نَهَى النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏عَنْ الْبَوْلِ فِيهَا ‏
  
নবী স. বলেছেনঃ তোমরা এমন দুটো কাজ থেকে বিরত থাক যা অভিশপ্ত। সাহাবীরা প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহ’র রাসূল কাজ দুটো কী?
যে ব্যক্তি (১) মানুষের চলচলের পথে কিংবা () ছায়াযুক্ত স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করে।
 __________________________________________
তথ্য সূত্র: কুতাইবা ইবনে সাইদ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ: অধ্যায়: কিতাবুত্তাহারাত, অনুচ্ছেদ:১৪, হাদিস নম্বর ২৫] [মুসলিম]

......বরং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের হৃদয় ও আমল দেখেন

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّ اللَّهَ
لَا يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى
قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ
‏_____________________
*تحقيق رياض اصا لحين***
রাসূল স. বলেছেন “ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের শরীর এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন
না, বরং তিনি তোমাদের হৃদয় ও আমল দেখেন। ”

*_____________________________________________*

*তথ্য সূত্র: আবু হুরাইরাই আব্দুর রহমান বিন সাখর থেকে বর্ণিত।** [তাহকীক,
রিয়াযুস-স্বালিহীন], [বুখারী], [মুসলিম], [তিরমিযী], [নাসাঈ], [আবু দাউদ], [ইবনু
মাজাহ], [আহমাদ], [মালিক] *

যাদের সবকিছু ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে

الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ أَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ ﴿١﴾

যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে বাধা দিয়েছে  আল্লাহ তাদের সমস্ত কাজ-কর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪৭:০১] / সূরা-মুহাম্মদ : আয়াত এক


আমরা যখন মরে একেবারে মাটি হয়ে যাবো এবং থেকে যাবে শুধুমাত্র হাড়ের পিঞ্জর তখন আমাদের আবার জীবিত করে উঠানো হবে, এমনও কি কখনো হতে পারে ?

أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ ﴿١٦﴾ أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ ﴿١٧﴾ قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ ﴿١٨﴾ فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ ﴿١٩﴾ وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَٰذَا يَوْمُ الدِّينِ ﴿٢٠﴾

(তাঁরা বলে) আমরা যখন মরে একেবারে মাটি হয়ে যাবো এবং থেকে যাবে শুধুমাত্র হাড়ের পিঞ্জর তখন আমাদের আবার জীবিত করে উঠানো হবে, এমনও কি কখনো হতে পারে ? আর আমাদের পূর্ব-পুরুষদেরকেও কি উঠানো হবে?”

(হে মুহাম্মদ) এদেরকে বলো, হ্যাঁ, এবং তোমরা (আল্লাহর মোকাবিলায়) অসহায়। ব্যস, একটিমাত্র বিকট ধমক হবে এবং সহসাই এরা স্বচক্ষে (সেই সবকিছু যার খবর দেয়া হচ্ছে) দেখতে থাকবে। সে সময় এরা বলবে, হায়! আমাদের দুর্ভাগ্য, এতো প্রতিফল দিবস।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩৭: ১৬-২০] / সূরা- আস সাফফাত: আয়াত ষোল থেকে বিশ


অহংকার ও অনিবার্য পতন

كَانَ لِلنَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏نَاقَةٌ تُسَمَّى الْعَضْبَاءَ لَا تُسْبَقُ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏حُمَيْدٌ ‏ ‏أَوْ لَا تَكَادُ تُسْبَقُ ‏ ‏فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى ‏ ‏قَعُودٍ ‏ ‏فَسَبَقَهَا فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حَتَّى عَرَفَهُ فَقَالَ ‏ ‏حَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ لَا يَرْتَفِعَ شَيْءٌ مِنْ الدُّنْيَا إِلَّا وَضَعَهُ
_____________________
صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏نَاقَةِ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏ابْنُ عُمَرَ ‏ ‏أَرْدَفَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أُسَامَةَ ‏ ‏عَلَى الْقَصْوَاءِ ‏ ‏وَقَالَ ‏ ‏الْمِسْوَرُ ‏ ‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَا ‏ ‏خَلَأَتْ ‏ ‏الْقَصْوَاءُ ‏


রাসূল স. এর ‘আযবা’ নামের একটি উট ছিল। কোন উট-ই তাকে পেছনে ফেলতে পারত না। এক সময় একজন গ্রাম্য আরব তাঁর উটের পিঠে চড়ে আসল এবং রাসূল স. এর উটনীকে পেছনে ফেলে আগে চলে গেল। এই অবস্থা মুসলমানদের জন্য মনস্তাপের কারণ হয়। তখন রাসূল স. বললেন: আল্লাহ তাআলার নির্ধারণ করে রেখেছেন, পৃথিবীর যেই জিনিস-ই (অহংকারে) সমুন্নত হয়, তাকে আল্লাহ অবনত করে দেন।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: বুখারী- হযরত আনাস থেকে বর্ণিত। [বুখারী, কিতাবুল জিহাদি ওয়াস সিয়া] [মিশকাত-৩৬৯৫]

দুর্গম গিরিপথ

فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ ﴿١١﴾ وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ ﴿١٢﴾ فَكُّ رَقَبَةٍ ﴿١٣﴾ أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ ﴿١٤﴾ يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ ١٥﴾
أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ ﴿١٦﴾ ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ ﴿١٧﴾

কিন্তু সে দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করার সহস করেনি। তুমি কী জানো সেই দুর্গম গিরিপথটি কি ? কোন গলাকে দাসত্বমুক্ত করা অথবা অনাহারের দিন কোন নিকটবর্তী এতিম বা ধূলি মলিন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো।

তারপর ( এই সংগে ) তাদের মধ্যে শামিল হওয়া যারা ঈমান এনেছে  এবং যারা পরস্পরকে সবর ও ( আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ) রহম করার উপদেশ দেয় 


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৯০: ১১-১৭] / সূরা- আল বালাদ: আয়াত- এগারো থেকে সতেরো

একজন নবী স. কে প্রশ্ন করলো “আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো?”

أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ أَرَأَيْتَ ‏ ‏إِذَا صَلَّيْتُ الصَّلَوَاتِ ‏ ‏الْمَكْتُوبَاتِ ‏ ‏وَصُمْتُ رَمَضَانَ وَأَحْلَلْتُ الْحَلَالَ وَحَرَّمْتُ الْحَرَامَ وَلَمْ أَزِدْ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا أَأَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَالَ نَعَمْ قَالَ وَاللَّهِ لَا أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا ‏
_____________________
صحيح مسلم / كتاب الإيمان‏ ‏بَاب ‏ ‏بَيَانِ الْإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةَ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏

একজন নবী স. কে প্রশ্ন করলো, আপনার মত যদি আমি সব ফরয নামাযগুলো পড়ি, রমযানের রোযা রাখি, হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করি আর হারামকে হারাম জেনে ছেড়ে দেই এবং এর বেশি কিছু না করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো?

তিনি নবী স. বললেন “ হ্যা”তারপর লোকটি বলল, শপথ আল্লাহ’র, আমি এর ওপর নিজের পক্ষ থেকে কিছু বাড়াবনা।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: জাবির থেকে বর্ণিত।  [মুসলিম: অধ্যায়- কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ- : যে ঈমানের বদলে জান্নাতে যাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহ তাআলার) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরেছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে  , হাদিস নম্বর- ১৮]

সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে?

وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّن يَدْعُو مِن دُونِ اللَّهِ مَن لَّا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَن دُعَائِهِمْ غَافِلُونَ ﴿٥﴾

সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্তাকে ডাকে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয়  এমনকি আহবানকারী যে তাকে আহবান করছে সে বিষয়েও সে অজ্ঞ
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪৬:০৫] / সূরা- আহকাফ: আয়াত- ৫


নবী স. ব্যক্তিগতভাবে পিঁয়াজ অপছন্দ করতেন

من اكل من هذه اشجرة فلا يقرب مساجدنا يؤذينا بريح اثوم
_____________________


রাসূল স. বলেছেন “ যে এই উদ্ভিদ  থেকে খায় সে আমাদের মসজিদগুলোর কাছে যেন না আসে, পিঁয়াজের গন্ধ আমাদের কষ্ট দিবে

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব থেকে বর্ণিত। [মুয়াত্তা ইবনে মালিকঃ  অধ্যায়ঃ নামাযের সময়, রেওয়াত ৩০, পরিচ্ছেদঃ৮]

অভিশপ্ত কাজ!

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏اتَّقُوا اللَّاعِنَيْنِ قَالُوا وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي ‏ ‏يَتَخَلَّى ‏ ‏فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‏
_____________________
سنن أبي داؤود / ‏كِتَاب ‏ ‏الطَّهَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الْمَوَاضِعِ الَّتِي نَهَى النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏عَنْ الْبَوْلِ فِيهَا ‏


নবী স. বলেছেনঃ তোমরা এমন দুটো কাজ থেকে বিরত থাক যা অভিশপ্ত। সাহাবীরা প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহ’র রাসূল কাজ দুটো কী?
যে ব্যক্তি (১) মানুষের চলচলের পথে কিংবা () ছায়াযুক্ত স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: কুতাইবা ইবনে সাইদ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ: অধ্যায়: কিতাবুত্তাহারাত, অনুচ্ছেদ:১৪, হাদিস নম্বর ২৫] [মুসলিম]

লোকটি বলল “হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনার-ই, চোর ব্যভিচারিণী ও ধনী ব্যক্তির হাতে গিয়ে (সাদকা) পড়লো!!”

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏قَالَ رَجُلٌ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدِ سَارِقٍ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ عَلَى سَارِقٍ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدَيْ زَانِيَةٍ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ اللَّيْلَةَ عَلَى زَانِيَةٍ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ عَلَى زَانِيَةٍ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدَيْ غَنِيٍّ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ عَلَى غَنِيٍّ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ عَلَى سَارِقٍ وَعَلَى زَانِيَةٍ وَعَلَى غَنِيٍّ فَأُتِيَ فَقِيلَ لَهُ أَمَّا صَدَقَتُكَ عَلَى سَارِقٍ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعِفَّ عَنْ سَرِقَتِهِ وَأَمَّا الزَّانِيَةُ فَلَعَلَّهَا أَنْ تَسْتَعِفَّ عَنْ زِنَاهَا وَأَمَّا الْغَنِيُّ فَلَعَلَّهُ يَعْتَبِرُ فَيُنْفِقُ مِمَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الزَّكَاةِ ‏ ‏بَاب ‏ ‏إِذَا تَصَدَّقَ عَلَى غَنِيٍّ وَهُوَ لَا يَعْلَمُ

এক ব্যক্তি বলল, আমি কিছু সদকা করব। সাদকা নিয়ে বের হয়ে সে এক চোরের হাতে তা দিয়ে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগলো, চোরকে সাদকা দেয়া হয়েছে। এতে সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার-ই, আমি অবশ্যই সদকা করব। (অতঃপর সে) সাদকা নিয়ে বের হয়ে তা এক ব্যভিচারিণীর হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, রাতে এক ব্যভিচারিণীকে সাদকা দেয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার-ই, (আমার সাদকা) ব্যভিচারিণীর হাতে পৌঁছল! আমি অবশ্যই সাদকা করব। এরপর সাদকা নিয়ে বের হয়ে কোন এক ধনী ব্যক্তির হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলতে লাগলো, ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দেয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনার-, চোর, ব্যভিচারিণী ও ধনী ব্যক্তির হাতে গিয়ে (সাদকা) পড়লো!

পরে স্বপ্নযোগে তাকে বলা হলো, তোমার সাদকা চোর পেয়েছে, সম্ভবত সে চুরি করা থেকে বিরত থাকবে, তোমার সাদকা ব্যভিচারিণী পেয়েছে সম্ভবত এজন্য যে, সে তার ব্যভিচার থেকে পবিত্র থাকবে আর ধনী ব্যক্তি তোমার সাদকা পেয়েছে, সম্ভবত সে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ থেকে সাদকা করবে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: আবুল ইয়ামান.. আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। [ সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ যাকাত, পরিচ্ছেদঃ  সাদকাদাতা অজান্তে কোন ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দিলে]

কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া

‏حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ
عِنْدَهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَهُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَبِيعُهُ بِرُخْصٍ
فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏لَا
تَشْتَرِي وَلَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ فَإِنَّ
الْعَائِدَ فِي صَدَقَتهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ ‏

_____________________

*صحيح بخاري* * ‏*‏ ‏بَاب ‏ ‏هَلْ يَشْتَرِي الرَّجُلُ صَدَقَتَهُ ‏ ‏وَلَا
بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ صَدَقَتَهُ غَيْرُهُ ‏ ‏لِأَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّمَا نَهَى الْمُتَصَدِّقَ خَاصَّةً ‏ ‏عَنْ
الشِّرَاءِ وَلَمْ يَنْهَ غَيْرَهُ ‏

* *



আমি আল্লাহ’র রাস্তায় এক গাজীকে বাহন হিসেবে একটি ঘোড়া দিয়েছিলাম। সে তাকে (সেই
ঘোড়াকে) অযত্নে নষ্ট করে ফেলল। আমি তা কিনতে ইচ্ছে করলাম এবং ভাবলাম সে তা
সস্তায় বেচে দিবে। তারপর আমি এ ব্যাপারে নবী স. কে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি স. বললেন
“ তা কিনবে না এবং তোমার দান তুমি ফেরত নিবে না- যদিও সে তোমাকে এক দিরহামও
ফেরত দেয়। কেননা, *নিজের দান ফেরত গ্রহণকারী হল* *সেই কুকুরের মত* যে *নিজের
বমি ফেরত খায়*!” আরেক বর্ণনায় আছে, তুমি তোমার দান ফেরত নিবে না। কেননা, যে
নিজের দান ফেরত নেয়, সে যেন নিজের বমি ফেরত খায়।

* *

*_____________________________________________*

*তথ্য সূত্র: উমার ইবনে খাত্তাব থেকে বর্ণিত। **[বুখারী] ও [মুসলিম] ,
[মিশকাত:১৮৫৮,
অধ্যায়: যে নিজের দান ফিরিয়ে নেয় না]***

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই রক্ষা করবেন

إِنَّ مَا تُوعَدُونَ لَآتٍ ۖ وَمَا أَنتُم بِمُعْجِزِينَ ﴿١٣٤﴾

তোমাদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই আসবে, আর তোমরা (আল্লাহ তাআলাকে) ব্যর্থ করে দেবার ক্ষমতা রাখ না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৬:১৩৪] / সূরা-আল আনআম: আয়াত ১৩৪


রাসূল স. বললেন “ সে শান্তি লাভ করল অথবা তাঁর থেকে শান্তি পাওয়া গেল। ”

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مُرَّ عَلَيْهِ بِجِنَازَةٍ فَقَالَ ‏ ‏مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْمُسْتَرِيحُ وَالْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ قَالَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ ‏ ‏نَصَبِ ‏ ‏الدُّنْيَا وَأَذَاهَا إِلَى رَحْمَةِ اللَّهِ وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلَادُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الرِّقَاقِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏سَكَرَاتِ الْمَوْتِ

একবার হযরত মুহাম্মদ স. এর কাছ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হল। তখন রাসূল স. বললেন সে শান্তি লাভ করল অথবা তাঁর থেকে শান্তি লাভ করা গেল।

সাহাবীরা প্রশ্ন করল ইয়া আল্লাহর রাসূল! কে শান্তি লাভ করে আর কার কাছ থেকে শান্তি লাভ করা যায়?

নবী স. বললেন মুমিন বান্দা পৃথিবীর দুঃখ কষ্ট হতে আল্লাহর রহমতের আশ্রয়ে শান্তি লাভ করেআর কাফের বান্দা হতে আল্লাহ’র বান্দারা, দেশ, গাছপালা ও পশু পাখিরা শান্তি লাভ করে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু কাতাদা আনসারী থেকে বর্ণিত[বুখারী, কিতাবুর-রিকাক][মুসলিম] [মিশকাত: ১৫১৫, অধ্যায়: মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুর স্মরণ]


যে মিথ্যা বানায়, সে ব্যর্থ হয়েছে!

قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُم بِعَذَابٍ ۖ وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَىٰ ﴿٦١﴾

মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ  দুর্ভাগ্য তোমাদের; তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। তাহলে তিনি তোমাদেরকে আযাব দিয়ে সমূলে ধবংস করে দেবেন। যে মিথ্যা বানায়, সে ব্যর্থ হয়েছে।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২০:৬১] / সূরা-ত্বাহা: আয়াত ৬১


তাঁর পরনের কাপড় ছিল ধবধবে সাদা আর মাথার চুলগুলো ছিল মিশ্ কালো

ثُمَّ ‏ ‏قَالَ حَدَّثَنِي ‏ ‏أَبِي ‏ ‏عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا ‏ ‏مُحَمَّدُ ‏ ‏أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ ‏ ‏مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ ‏ ‏الْبَيْتَ ‏ ‏إِنْ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلًا قَالَ صَدَقْتَ قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ الْإِيمَانِ قَالَ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ قَالَ صَدَقْتَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ الْإِحْسَانِ قَالَ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ السَّاعَةِ قَالَ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنْ السَّائِلِ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ ‏ ‏أَمَارَتِهَا ‏ ‏قَالَ أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ ‏ ‏رَبَّتَهَا ‏ ‏وَأَنْ ‏ ‏تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ ‏ ‏الْعَالَةَ ‏ ‏رِعَاءَ الشَّاءِ ‏ ‏يَتَطَاوَلُونَ ‏ ‏فِي الْبُنْيَانِ قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ‏ ‏مَلِيًّا ‏ ‏ثُمَّ قَالَ لِي يَا ‏ ‏عُمَرُ ‏ ‏أَتَدْرِي مَنْ السَّائِلُ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهُ ‏ ‏جِبْرِيلُ ‏ ‏أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏
 _____________________
صحيح مسلم / كتاب الإيمان باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان

একদিন আমরা রাসূল স. এর কাছে ছিলাম। এমন সময় আমাদের চোখে পড়ল সাদা ধবধবে কাপড় ও মিশমিশে কাল চুলওয়ালা একজন লোক  তাঁর মধ্যে ভ্রমণের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, অথচ আমাদের মধ্যে কেউ তাঁকে চিনতেও পারছিল না। এমনকি তিনি নবী স. এর কাছে এসে বসলেন। তারপর নবী স. এর দুই হাঁটুর সাথে নিজের দুই হাঁটু মিলিয়ে তাঁর দুহাত (নিজের অথবা নবী স. এর) উরুর উপর রেখে প্রশ্ন করলেন হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন- (ইসলাম কী?)

নবী স. উত্তরে বললেন আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ স. তাঁর রাসূল এ ঘোষণা করবে, নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা রাখবে এবং যদি তুমি সেখানে(মক্কায়) যেতে সমর্থ হও তাহলে বায়তুল্লাহর হজ্ব করবে- এই হল ইসলাম। তিনি(আগন্তুক) বললেন 'সত্য বলেছেন।'

তাঁর (আচরণে) আমরা অবাক হলাম (কারণ) - (আগন্তুক ব্যক্তিটি অজ্ঞ লোকের মত) প্রশ্নও করছেন আবার (বিজ্ঞের মত) তার সমর্থনও করছেন!

তারপর (আগন্তুক) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে বলুন ঈমান কাকে বলে?

নবী স. উত্তর দিলেনঃ আল্লাহকে বিশ্বাস করবে এবং তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর কিতাবগুলোকে, তাঁর নবী-রাসূলদের, ও বিশ্বাস করবে পরকালে এবং তাকদিরে- তার ভাল এবং মন্দে- বিশ্বাস করবে। তিনি (আগন্তুক) বললেনঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। এখন আমাকে বলুন! ‘ইহসানকাকে বলে? নবী স. বললেনঃ আল্লাহর ইবাদত ঐভাবে করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তা হলে (মনে করবে যে) তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেনঅতঃপর (আগন্তুক) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে বলুন কিয়ামত সম্পর্কে (তা কবে হবে?)নবী স. উত্তর দিলেনঃ এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে বেশি জানেন না। তিনি (আগন্তুক) বললেন, তবে তার নিদর্শনগুলো (লক্ষণগুলো) আমায় বলে দিন। নবী স. বললেন "দাসি নিজের মনিবকে প্রসব করবে এবং (এক কালের) নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর, দরিদ্র, মেষ চারকদের (পরবর্তীকালে) দালান-কোঠা নিয়ে একজন আরেকজনের সাথে গর্ব করতে দেখবে!" (বর্ণনাকারী উমর র.) বলেনঃ এরপর লোকটি চলে গেলেআমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর নবী স. আমাকে বললেনঃ উমর! তুমি কি চিনলে প্রশ্নকারী লোকটি কে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই অধিক  জ্ঞাত।

নবী স. বললেনঃ তিনি হচ্ছেন হযরত জিব্রাইল। তোমাদেরকে দ্বীন (ইসলাম) শেখাবার জন্য তোমাদের কাছে এসেছিলেন।

_________ইমাম মুসলিম এটি হযরত উমর থেকে রেওআত করেছেন। কিন্তু সামান্য শাব্দিক পরিবর্তনের সাথে এই হাদিসটি আবু হুরায়রা র. থেকেও বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- যখন নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর ও মূক-বধিরদের (অর্থাৎ অযোগ্য লোকদের) দেশের রাজা বা শাসক হতে দেখবে। (আর কেয়ামত) সেই পাঁচটি বিষয়ের অন্তর্গত  যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তারপর তিনি পাঠ করলেন এই আয়াতটি
   ان الله عنده علم الساعه وينزل الغيث(সুরা লোকমান:আয়াত ২৬)

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: উমর ইবনুল খাত্তার র. থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম, কিতাবুল ঈমান], [মিশকাত:২, অধ্যায় ঈমান]

দান, ক্ষমা ও বিনয়

عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ
____________________
صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْبِرِّ وَالصِّلَةِ وَالْآدَابِ
‏ ‏بَاب ‏ ‏اسْتِحْبَابِ الْعَفْوِ وَالتَّوَاضُعِ

রাসূল স. বলেছেনঃ দান সম্পদ কমায় না; ক্ষমা দ্বারা আল্লাহ কোন বান্দার সম্মান বৃদ্ধি ছাড়া হ্রাস করেন না এবং যে কেউ আল্লাহর ওয়াস্তে বিনয় প্রকাশ করে, আল্লাহ তাঁকে উন্নত করেন।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। [মুসলিম: কিতাবুল বিররি ওয়াস্সালাতু ওয়াল আদাব] [মিশকাত: ১৭৯৫, অধ্যায় দানের মাহাত্ম্য]

পরিব্রাজক

أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏بِمَنْكِبِي فَقَالَ ‏ ‏كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ ‏‏وَكَانَ ‏ ‏ابْنُ عُمَرَ ‏ ‏يَقُولُ ‏ ‏إِذَا أَمْسَيْتَ فَلَا تَنْتَظِرْ الصَّبَاحَ وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلَا تَنْتَظِرْ الْمَسَاءَ وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الرِّقَاقِ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏قَوْلِ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ ‏ ‏أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ

একদিন রাসূল স. আমার দুই কাঁধ ধরে বললেনঃ পৃথিবীতে এমনভাবে থাকবে যেন তুমি একজন মুসাফির অথবা পরিব্রাজক। রাবী বলেন, অতঃপর আবদুল্লাহ আমাদের বলতেন, যখন তোমার সন্ধ্যা চলে আসবে সকালের অপেক্ষা করো না  আর যখন সকালে উঠবে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না, আর তোমার সুস্থতার সুযোগ গ্রহণ কর অসুস্থতার আগে এবং তোমার জীবনের সুযোগ গ্রহণ কর তোমার মৃত্যুর আগে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত। [বুখারী: কিতাব উর রিকাক]  [মিশকাত: ১৫১৬,অধ্যায় মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুর স্মরণ]

নিজেকে ‘খবিস’ বলা!

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي وَلَكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي ‏
_____________________
صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏لَا يَقُلْ خَبُثَتْ نَفْسِي

রাসূল স. বলেছেন তোমাদের কেউ যেন না বলে ‘ আমার হৃদয়’ খবিস (কলুষিত) হয়ে গেছে। বরং সে যেন বলে আমার মন ভাল নেই।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আয়েশা র. থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] [মিশকাত:৪৫৫৮, অধ্যায়-নাম রাখা সম্পর্কে বর্ণনা]


রাসূল স. বললেন তোমাদের কেউ যখন জুতো পড়ে, সে যেন ডান পা থেকে আরম্ভ করে

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِذَا انْتَعَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِالْيَمِينِ وَإِذَا نَزَعَ فَلْيَبْدَأْ بِالشِّمَالِ ‏ ‏لِيَكُنْ الْيُمْنَى أَوَّلَهُمَا تُنْعَلُ وَآخِرَهُمَا تُنْزَعُ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏اللِّبَاسِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏يَنْزِعُ نَعْلَهُ الْيُسْرَى ‏

রাসূল স. বলেছেন তোমাদের কেউ যখন জুতো পড়ে, সে যেন ডান পা থেকে আরম্ভ করে, আর যখন খুলবে, তখন তা যেন বাম পা থেকে শুরু করে। যাতে জুতো পড়ার পর ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় তা হয় শেষে।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। [বুখারী: কিতাবুলবাসি][মুসলিম] , [মিশকাত:৪২১৪]

বাস্তবিক অর্থে কৃতকার্য যারা

وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ [٢٤:٥٢]

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই কৃতকার্য
______________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৪:৫২] / সূরা- আন নূর: আয়াত ৫২

অযথা কাউকে কাফের বলা!

قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم- رواه مسلم

রাসুল সা. বলেছেন ,যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু  বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার  কথা নিজের দিকে ফিরবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] বুখারী ও মুসলিম ,  মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।

শোনা কথা বলে বেড়ানো

كفى بالمرء كزبا ان يحدث بكل ماسمع- رواه مسلم

রাসূল(সা) বলেন ,কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (তার সত্যতা যাচাই না করে) তাই বলবে (অথবা বলে বেড়াবে)

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নীত]  মুসলিম , মিশকাতঃ১৪৯