عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى إِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ وَعَنْ قَوْلِهِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ فَقَالَتْ مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَذِهِ مُعَاتَبَةُ اللَّهِ الْعَبْدَ فِيمَا يُصِيبُهُ مِنْ الْحُمَّى وَالنَّكْبَةِ حَتَّى الْبِضَاعَةُ يَضَعُهَا فِي كُمِّ قَمِيصِهِ فَيَفْقِدُهَا فَيَفْزَعُ لَهَا حَتَّى إِنَّ الْعَبْدَ لَيَخْرُجُ مِنْ ذُنُوبِهِ كَمَا يَخْرُجُ التِّبْرُ الْأَحْمَرُ مِنْ الْكِيرِ سنن الترميذي / كِتَاب النِّكَاحِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاب مَا جَاءَ فِي إِكْرَاهِ الْيَتِيمَةِ عَلَى التَّزْوِيجِ
উমাইয়া হযরত আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেন এই আয়াত সম্পর্কে—“ যদি তোমরা প্রকাশ কর যা তোমাদের অন্তরে আছে (অন্যায় বিষয়/খারাপ চিন্তা) অথবা গোপন রাখ তাকে, আল্লাহ সে সম্পর্কে হিসেব নিবেন।” এবং এই আয়াত সম্পর্কে “ যে অন্যায় কাজ করবে সে তার শাস্তি ভোগ করবে।”
তখন হযরত আয়েশা র. বললেন, আমি এ ব্যাপারে রাসূল স. কে জিজ্ঞেস করবার পর এ পর্যন্ত কেউ আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেনি। নবি স. বলেছেন, এই দুই আয়াতে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে (দুনিয়াতে) বান্দার প্রতি যে জ্বর ও দুঃখ প্রভৃতি পৌছে, তা দিয়ে আল্লাহ যে শাস্তি দেন তা—এমনকি বান্দা তার জামার জেবে যে জিনিষ রাখে, অতঃপর তা হারিয়ে ফেলে এবং তজ্জন্য অস্থির হয়ে যায় (এটিও তাঁর শাস্তির অন্তর্গত।)—অবশেষে বান্দা তার গুনাহ থেকে (সাফ হয়ে) বের হয়, যেভাবে স্বর্ণ হাপরের আগুনে সাফ হয়ে বের হয়।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: তাবেয়ি আলি ইবনে যায়েদ , তাবেয়ী উমাইয়া থেকে বর্ণনা করেন। [তিরমিযী কিতাবুন্নিকাহ] [মিশকাত ১৪৭১ অধ্যায়: রুগ্নকে দেখতে যাওয়া ও রোগের সাওয়াব]