Saturday, April 2, 2011

কষ্টকর মুহুর্তে ধৈর্য ও সংযম

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, খিদে, সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহী রাজিউন (অর্থঃ নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো)

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: সূরা বাকারা-১৫৫-১৫৬  [০২;১৫৫-১৫৬]

¢ প্রচণ্ড প্রতিকূল সময় ও বিপদের মুহুর্তে যে লোক নিজের ঈমানকে যে টিকিয়ে রাখতে পারে সে-ই হল প্রকৃত ঈমানদার সত্যিকার অর্থে কেউ বিশ্বাসী কিনা তা যাচাই করার জন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের কোন না কোন সময় কঠিন বিপদের মধ্যে ফেলেন এ সময়ে যারা ধৈর্যধারণ করে অর্থাৎ প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিবেশেও নিজের সততার সাথে বিন্দুমাত্র আপোস করে না, এমনকি নিজের বিশ্বাস ও সততাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের জীবনকেও ঝুকির মধ্যে ফেলতে প্রস্তুত থাকে, কেবল তারাই আল্লাহ তাআলার কাছে মুমিন হিসেবে উত্তীর্ণ হয় এমনসব মুমিনদেরকেই আল্লাহ  সুসংবাদ দিয়েছেন "তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের" এই আয়াতটিতে।

ক্লান্ত ইবাদাতকারী

‏أَنَّ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ لِيُصَلِّ أَحَدُكُمْ نَشَاطَهُ فَإِذَا فَتَرَ فَلْيَقْعُدْ ‏صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْجُمُعَةِبَاب ‏ ‏مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّشْدِيدِ فِي الْعِبَادَةِ ‏

রাসূল সা. বলেছেনতোমাদের কেউ (যখন নামায পড়ে সে) যেন যতক্ষন ভাল লাগে ততক্ষন পর্যন্ত নামায পড়ে।যখন ক্লান্ত লাগবে তখন যেন বসে যায়।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আনাস(রা) থেকে বর্নিত] বুখারী [জুমআর অধ্যায়]ও মুসলিম ,মিশকাতঃ১১৭৫ অধ্যায়ঃকাজে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা।

বোকার মত বার বার শত্রুর ফাঁদে পা দেয়া বিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য নয়

عَنْ النَّبِيِّ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏أَنَّهُ قَالَ ‏لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ وَاحِدٍ مَرَّتَيْنِ صحيح بخاري / كِتَاب ‏الْأَدَبِ ‏بَاب ‏لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ ‏مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ ‏وَقَالَ ‏مُعَاوِيَةُ ‏لَا حَكِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرِبَةٍ

রাসূল স. বলেন “মু’মিনকে এক-ই গর্ত থেকে দুবার কামড় দেয়া  যায় না

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত [বুখারী, কিতাবুল আদাব] ও মুসলিম , [মিশকাত-৪৮৩৩, অধ্যায়- সব কাজে সাবধানতা ও ধীর স্থিরতা অবলম্বন করা]

¢ব্যাখ্যা: মুমিনকে একবার ধোঁকা দেয়া যায়, কিন্তু দ্বিতীয়বার সে শত্রুর ফাঁদে পা দেয় না। শত্রুর ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সে সবসময় পূর্ণ মাত্রায় সতর্ক ও সজাগ থাকে। দুর্ঘটনাক্রমে সে যদি শত্রুর খপ্পরে পড়েও যায়, তা থেকে সে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং ভবিষ্যতে যেন আবার একি ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য সে সার্বক্ষণিক সচেতন থাকে।

কালো সময়

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏لَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا أَكَلَ الرِّبَا فَإِنْ لَمْ يَأْكُلْهُ أَصَابَهُ مِنْ بُخَارِهِ ‏سنن أبي داؤود / ‏كِتَاب ‏ ‏الْبُيُوعِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏فِي اجْتِنَابِ ‏ ‏الشُّبُهَاتِ

লোকদের উপর এমন যুগ আসবে যখন ( সুদী লেনদেন চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাবে, এমনকি) একটি  লোকও সুদ খাওয়া থেকে রক্ষা পাবে না। সে সরাসরি না খেলেও সুদের ধোঁয়া বা ধুলা তাকে স্পর্শ করবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ- কিতাব- ক্রয় বিক্রয়/ মিশকাত-২৬৯৪, অধ্যায় সুদের বয়ান

একজন অ্যালকোহলিক এর তাওবা

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ لَمْ يَقْبَلْ اللَّهُ لَهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ لَمْ يَقْبَلْ اللَّهُ لَهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ لَمْ يَقْبَلْ اللَّهُ لَهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَإِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ لَمْ يَقْبَلْ اللَّهُ لَهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ صَبَاحًا فَإِنْ تَابَ لَمْ يَتُبْ اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَقَاهُ مِنْ نَهْرِ الْخَبَالِ قِيلَ يَا ‏أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ ‏وَمَا نَهْرُ الْخَبَالِ قَالَ نَهْرٌ مِنْ صَدِيدِ أَهْلِ النَّارِ سنن الترميذي / ‏كِتَاب ‏الْأَشْرِبَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏بَاب ‏مَا جَاءَ فِي الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ

যে ব্যক্তি (একবার) মদ খায়, আল্লাহ ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামায কবুল করেন না। অবশ্য সে যদি তওবা করে, তবে তাওবা কবুল করা হয়। যদি সে (দ্বিতীয়বার) আবারও মদ খায়, আল্লাহ তাআলা ৪০ দিন পর্যন্ত তার নামায কবুল করেন না। আবার যদি সে তাওবা করে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। যদি সে আবারও (তৃতীয়বার) মদ খায়, ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহ তার নামায কবুল করেন না। আবার যদি সে তাওবা করে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন ।

যদি সে চতুর্থবারও মদ খায়, আল্লাহ তার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না। এবার সে যদি তাওবা করে, তবে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন না এবং তাকে নহরে খাবালহতে অর্থাৎ, জাহান্নামীদের রক্ত ও পুঁজের নহর থেকে (রক্ত ও পুঁজ) পান করাবেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[আব্দুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত-তিরমিযী]ইবনে মাজাহ,নাসাঈতে আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত [মিশকাত: ৩৪৭৭অধ্যায়-মদের বিবরণ ও মদ্যপায়ীর প্রতি ভীতি প্রদর্শন]

যেভাবে মুনাফিক চিনবেন

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏آيَةُ ‏ ‏الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ ‏صحيح مسلم / كتاب الإيمان‏ ‏بَاب ‏ ‏بَيَانِ خِصَالِ الْمُنَافِقِ

নবী স.বলেছেন “ মুনাফিকের চীহ্ন হচ্ছে তিনটি

১. যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে
২. প্রতীজ্ঞা করলে তা ভংগ করে
৩. এবং তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হলে সে তা খিয়ানত করে

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত।  বুখারী [কিতাবুল ঈমান]  মুসলিম  [কিতাবুল ঈমান] , মিশকাতঃ ৪৯ অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহ ও মুনাফেকির নিদর্শন।

মিথ্যা

اذا كذب العبد تباعد عنه الملك ميلا من نتن ماجاء به

যখন কোন বান্দা মিথ্যা বলে, তখন তার দুর্গন্ধে ফেরেশতা তাঁর থেকে এক মাইল দূরে চলে যায়।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার থেকে বর্ণিত। [তিরমিযী] ও [মিশকাত- অধ্যায়- জিহবার সংযম, গীবতও গালমন্দ প্রসঙ্গ

পথভ্রষ্টতা

من تعلم كتاب الله ثم اتبع ما فيه هداه الله من اضلا لة في الدنيا و وقاه يوم القيامة سوء الحساب وفي رواية قال من اقندى بكتاب الله يضل في الدنيا ولا يشقي فى الاخرة ثم تلا  هذه الاية   فمن اتبع هداى فلا يصل ولا يشقي

যে আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করেছে, অতঃপর তাতে যা আছে তা অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাআলা তাকে পৃথিবীতে পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন এবং পরকালে তাকে হিসেবের কষ্ট হতে রক্ষা করবেন। অপর বর্ণনায় আছে- তিনি স. বলেছেন যে আল্লাহর কিতাব অনুসরণ করবে, সে পৃথিবীতে পথভ্রষ্ট হবে না এবং পরকালেও হতভাগ্য হবে না। অতঃপর তিনি এই আয়াত তেলাওয়াত করেন- فمن اتبع هداى فلا يصل ولا يشقي (অর্থাৎ যে আমার হেদায়েতের অনুসরণ করবে, সে (পৃথিবীতে) পথভ্রষ্ট গোমরাহ হবে না এবং ভাগ্যাহতও হবে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। মিশকাত: ১৮১ অধ্যায়: কিতাব ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরা

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের জন্য জান্নাত নয়

‏أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏يَقُولُ ‏ ‏لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ ‏ صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏إِثْمِ الْقَاطِعِ ‏

রাসুল স. বলেছেন: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু জুবাইর ইবনে মুতয়িম থেকে বর্ণিত। মুসলিম ও [বুখারী-কিতাবুলআদাব অধ্যায়, ইতমিল ক্বয়াতিম] মিশকাত: ৪৭০৫, অধ্যায়-সৎ কাজ ও সদ্ব্যবহার

রাসূল স. বললেন “....তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে....”

‏قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَعَظْتَنَا مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَاعْهَدْ إِلَيْنَا بِعَهْدٍ فَقَالَ ‏ ‏عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا وَسَتَرَوْنَ مِنْ بَعْدِي اخْتِلَافًا شَدِيدًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا ‏ ‏بِالنَّوَاجِذِ ‏ ‏وَإِيَّاكُمْ وَالْأُمُورَ الْمُحْدَثَاتِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ ‏ سنن إبن ماجه / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمُقَدِّمَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اتِّبَاعِ سُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ ‏

...রাসূল স. আমাদের নামায পড়ালেন। অতঃপর আমাদের মুখের দিকে মুখ ফিরিয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে এমন মর্মস্পর্শী নসীহত করলেন তা শুনে আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত ও অন্তরগুলো বিগলিত হল। এসময় এক ব্যক্তি বলে উঠল। হুজুর এ যেন বিদায় গ্রহণকারীর শেষ উপদেশ। আমাদের আরও কিছু উপদেশ দিন! তখন নবী স. বললেন “ তোমাদেরকে  আমি আল্লাহকে ভয় করতে উপদেশ দিচ্ছি এবং (ইমাম বা নেতার কথা) শুনতে ও (তাঁর) অনুগত থাকতে উপদেশ দিচ্ছি, এমনকি সে (ইমাম বা নেতা) যদি হাবশী গোলামও হয়।

আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অল্পদিনের মধ্যেই অনেক মতভেদ দেখবে, তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। অতএব, সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত-ই পথভ্রষ্টতা

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া থেকে বর্ণিত। আহমদ , আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ,মিশকাত-১৫৮

আকৃতি

هُوَ الَّذِي يُصَوِّرُكُمْ فِي الْأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَاءُ ۚ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেভাবে তিনি চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:কোরআন [৩:৬] / সূরা-আল ইমরান: আয়াত-৬

দুর্বল, বৃদ্ধ ও চিন্তাগ্রস্ত মানুষ

‏أَنَّ رَجُلًا قَالَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَأَتَأَخَّرُ عَنْ ‏صَلَاةِ الْغَدَاةِ ‏مِنْ أَجْلِ فُلَانٍ مِمَّا يُطِيلُ بِنَا فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏فِي مَوْعِظَةٍ أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ يَوْمَئِذٍ ثُمَّ قَالَ ‏إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ ‏فَلْيَتَجَوَّزْ ‏فَإِنَّ فِيهِمْ الضَّعِيفَ وَالْكَبِيرَ وَذَا الْحَاجَةِ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏الْأَذَانِ بَاب ‏تَخْفِيفِ الْإِمَامِ فِي الْقِيَامِ ‏وَإِتْمَامِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِصحيح مسلم / كِتَاب ‏الصَّلَاةِ ‏بَاب ‏أَمْرِ الْأَئِمَّةِ بِتَخْفِيفِ الصَّلَاةِ فِي تَمَا‏

এক বক্তি বলল , হে আল্লাহর রাসূল,  আল্লাহর শপথ, আমি ফজরের নামাজে দেরি করে আসি অমুক ব্যাক্তির জন্য, কেননা সে আমাদের দীর্ঘ নামাজ পড়ায়। আবু মসুদ র. বলেন , সেই দিন আমি রাসূল স. কে এমন রাগ করতে দেখেছি , যা আমি আগে কখন দেখিনি। রাসূল স. বললেন ,মানুষদেরকে যে-ই নামায পড়াক না কেন ,সে যেন নামাযকে সংক্ষেপ করে । কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও কাজের চিন্তাগ্রস্ত মানুষ থাকে।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: আবু মাসউদ রা .থেকে বর্নিত ।বুখারী [আযানের অধ্যায় ] মুসলিম [ নামাজের অধ্যায় ] মিশকাতঃ১০৬৪ আধ্যায়ঃইমামের কর্তব্য কি?