Friday, March 18, 2011

ধৈর্য ও নামায

ধৈর্য ও নামায


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ  

হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্যই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  কোরআন। সূরা-বাকারা। আয়াত ১৫৪

অহংকার ও নির্ধারিত পতন

অহংকার ও নির্ধারিত পতন

‏كَانَ لِلنَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏نَاقَةٌ تُسَمَّى الْعَضْبَاءَ لَا تُسْبَقُ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏حُمَيْدٌ ‏ ‏أَوْ لَا تَكَادُ تُسْبَقُ ‏ ‏فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى ‏ ‏قَعُودٍ ‏ ‏فَسَبَقَهَا فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حَتَّى عَرَفَهُ فَقَالَ ‏ ‏حَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ لَا يَرْتَفِعَ شَيْءٌ مِنْ الدُّنْيَا إِلَّا وَضَعَهُ ‏ صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏نَاقَةِ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏ابْنُ عُمَرَ ‏ ‏أَرْدَفَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أُسَامَةَ ‏ ‏عَلَى الْقَصْوَاءِ ‏ ‏وَقَالَ ‏ ‏الْمِسْوَرُ ‏ ‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَا ‏ ‏خَلَأَتْ ‏ ‏الْقَصْوَاءُ ‏

রাসূল স. এর ‘আযবা’ নামের একটি উট ছিল। কোন উট-ই তাকে পেছনে ফেলতে পারত না। এক সময় একজন গ্রাম্য আরব তাঁর উটের পিঠে চড়ে আসল এবং রাসূল স. এর উটনীকে পেছনে ফেলে আগে চলে গেল। এই অবস্থা মুসলমানদের জন্য মনস্তাপের কারণ হয়। তখন রাসূল স. বললেন: আল্লাহ তাআলার নির্ধারণ করে রেখেছেন, পৃথিবীর যে জিনিস-ই (অহংকারে) সমুন্নত হয়, তাকে আল্লাহ অবনত করে দেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: বুখারী- হযরত আনাস থেকে বর্ণিত। কিতাবুল জিহাদি ওয়াস্সিয়ার মিশকাত-৩৬৯৫

অযথা কাউকে কাফের বলা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ!

অযথা কাউকে কাফের বলা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ!

قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم- رواه مسلم

রাসুল সা. বলেছেন ,যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু  বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার  কথা নিজের দিকে ফিরবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] বুখারী ও মুসলিম ,  মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।

মুমিনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঘাসের মত, যাকে বাতাস এদিক সেদিক দোলায়

মুমিনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঘাসের মত, যাকে বাতাস এদিক সেদিক দোলায়

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَالْخَامَةِ مِنْ الزَّرْعِ ‏ ‏تُفَيِّئُهَا ‏ ‏الرِّيحُ مَرَّةً وَتَعْدِلُهَا مَرَّةً وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ كَالْأَرْزَةِ لَا تَزَالُ حَتَّى يَكُونَ ‏ ‏انْجِعَافُهَا ‏ ‏مَرَّةً وَاحِدَةً ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَرْضَى ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي كَفَّارَةِ الْمَرَضِ ‏ ‏وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏ ‏مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ ‏

রাসূল সা. বলেছেন, মুমিনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঘাসের মত, যাকে বাতাস এদিক সেদিক দোলায়, একবার নিচে ফেলে দেয় তারপর আবার সোজা করে,যতক্ষণ না তা মরে যায়। মুনাফিক এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে শক্ত ভাবে দাঁড়ান পিপল গাছের মত, যার কাছে কোন বিপদ পৌছায় না যতক্ষণ না তা মাটিতে কাত হয়ে পড়ে।  

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত কা’ব ইবনে মালেক(রা) থেকে বর্নিত] বুখারী [কিতাবুল মারজা] ও মুসলিম , মিশকাতঃ১৪৫৫ অধায়ঃরুগ্নকে দেখতে যাওয়া ও রোগের সাওয়াব।

গালিগালাজ

গালিগালাজ

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالَا فَعَلَى الْبَادِئِ مَا لَمْ يَعْتَدِ الْمَظْلُومُ ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْبِرِّ وَالصِّلَةِ وَالْآدَابِ بَاب ‏ ‏النَّهْيِ عَنْ السِّبَابِ ‏

রাসুল সা. বলেছেন,এমন দুই ব্যাক্তি যারা পরস্পর গাল-মন্দ করল,তখন গালির পাপ সেই ব্যাক্তির হবে যে প্রথম গালি দিয়েছে,যতক্ষন পর্যন্ত নির্যাতিত ব্যাক্তি সীমাতিক্রম করে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আনাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত]  মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৭ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।

দীর্ঘ নামায

দীর্ঘ নামায

‏أَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِنِّي لَأَدْخُلُ فِي الصَّلَاةِ وَأَنَا أُرِيدُ إِطَالَتَهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ ‏ ‏فَأَتَجَوَّزُ ‏ ‏فِي صَلَاتِي مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ شِدَّةِ ‏ ‏وَجْدِ ‏ ‏أُمِّهِ مِنْ بُكَائِهِ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَذَانِ ‏ بَاب ‏ ‏مَنْ أَخَفَّ الصَّلَاةَ عِنْدَ بُكَاءِ الصَّبِيِّ ‏

রাসূল স. বলেছেনঃ আমি অনেক সময় নামাজ শুরু করি, তখন আমার ইচ্ছা থাকে নামাজ কে দীর্ঘ করার, কিন্তু যখন আমি কোন বাচ্চার কান্না শুনি ,তখন আমি নামাজ কে সংক্ষেপ করি কেননা তার কান্না তার মায়ের মনে কষ্ট হচ্ছে ,তা আমি জানি।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্নীত। বুখারী [ আযানের আধ্যায় ] মিশকাতঃ১০৬২ আধ্যায়ঃ ইমামের কর্তব্য কি?

জিহ্বা

জিহ্বা

‏قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ ‏ ‏قُلْ ‏ ‏رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَضَاحِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا لَا يَجُوزُ مِنْ الْأَضَاحِيِّ
 
একবার আমি জিজ্ঞেস করলাম হে আল্লাহ’র রাসূল! আমার মধ্যে যে জিনিষগুলো ভয়ের কারণ বলে মনে করেন তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর কোনটি? তখন তিনি স. নিজের জিহ্বা ধরে বললেন “ এটি ”

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ র. থেকে বর্ণিত। [তিরমিযী] ও [মিশকাত ৪৬৩০, অধ্যায়- জিহবার সংযম, গীবতও গালমন্দ প্রসঙ্গ]

আল্লাহ যাদের ভালবাসেন

আল্লাহ যাদের ভালবাসেন

وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ

আরো অনেক (এমন) নবীও ছিল, যে নবী (আল্লাহ’র পথে) যুদ্ধ করেছে, তার সাথে  অনেক জ্ঞানী সাধক (আলেম, ওলামা, দরবেশ) ব্যক্তিরা, আল্লাহ’র পথে তাদের উপর যত বিপদ মুসিবত-ই এসেছে তাতে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েনি, তাঁরা দুর্বলও হয়নি, (দুর্নীতিবাজ,শয়তান, ও নষ্টদের সামনে) তাঁরা মাথা নতও করেনি। (এধরণের) ধৈর্যশীল  ব্যক্তিদের-ই আল্লাহ ভালবাসেন।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩:১৪৬] / সূরা-আল ইমরান: আয়াত একশ ছিচল্লিশ

নিষ্ফল কর্ম

নিষ্ফল কর্ম

وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ


(হে মুহাম্মদ) তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের, এ বলে ওহি পাঠান হয়েছে, যদি তুমি আল্লাহ তা'আলার সাথে অন্যদের শরীক কর তাহলে অবশ্যই তোমার কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তদের দলে শামিল হবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন। সূরা-যুমার। আয়াত ৬৫

মিথ্যুক!

মিথ্যুক!

كفى بالمرء كزبا ان يحدث بكل ماسمع- رواه مسلم

রাসূল (স.) বলেন ,কোন ব্যক্তি মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (তার সত্যতা যাচাই না করে) তাই বলবে (অথবা বলে বেড়াবে)

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নীত]  মুসলিম , মিশকাতঃ১৪৯


যে মানুষের কাছে চাওয়া থেকে বেঁচে থাকতে চায়

যে মানুষের কাছে চাওয়া থেকে বেঁচে থাকতে চায়

‏إِنَّ نَاسًا مِنْ ‏ ‏الْأَنْصَارِ ‏ ‏سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ ‏ ‏مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً خَيْرًا وَأَوْسَعَ مِنْ الصَّبْرِ
_____________________________
 ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الزَّكَاةِ‏ ‏بَاب ‏ ‏الِاسْتِعْفَافِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ
আনসারীদের কিছু লোক নবী স.এর কাছে কিছু চাইলেন, নবী স.তাদের কিছু দিলেন, এভাবে তাঁর কাছে যা ছিল তা শেষ হয়ে গেল । তখন তিঁনি বললেন, আমার কাছে যা সম্পদ থাকে আমি তা তোমাদের না দিয়ে কখন জমা করি না । (কিন্তু মনে রেখ ) যে মানুষের কাছে চাওয়া থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাঁকে চাওয়া থেকে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দেনএবং যে মানুষের উপর নির্ভরশীল হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাঁকে কারো উপর নির্ভরশীল না করেই রাখেন আর যে ধৈর্য ধরতে চায়, আল্লাহ তাঁকে ধৈর্য ধরার সামর্থ দান করেন। মনে রেখ! ধৈর্য থেকে ভাল ও প্রশস্ততর কোন দান কোন ব্যাক্তি লাভ করতে পারে না।  
  _______________________________
তথ্য সূত্র:হযরত আবু সাইদ খুদরী(রা) থেকে বর্ণিত [বুখারী কিতাব-যাকাত] ও মুসলিম [মিশকাতঃ ১৭৫০ অধ্যায়ঃ যার জন্য দান গ্রহন করা হালাল নয়]

লাঞ্ছিতদের দল

লাঞ্ছিতদের দল

إِنَّ الَّذِينَ يُحَادُّونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَٰئِكَ فِي الْأَذَلِّينَ ﴿٢٠﴾

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তারাই লাঞ্ছিতদের দলভূক্ত।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৫৮:২০] / সূরা-আল মুজাদিলাহ: আয়াত-২০

বিপদ ও মৃত্যু কামনা

বিপদ ও মৃত্যু কামনা

‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ مِنْ ضُرٍّ أَصَابَهُ فَإِنْ كَانَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتْ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتْ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي
_______________________
   صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَرْضَى ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏تَمَنِّي الْمَرِيضِ الْمَوْتَ

তোমাদের কেউ যেন তাঁর উপর যে বিপদ আপদ পৌছেছে তার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। অগত্যা তা(মৃত্যু কামনা) যদি সে করতেই চায়, তবে সে যেন বলে “ হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখ যে পর্যন্ত জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়”।

________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আনাস থেকে বর্ণীত। {বুখারী, কিতাবূল মারদা;]  ও মুসলিম

আল্লাহ তাঁর বান্দাহ’র ডাকে সাড়া দেন

আল্লাহ তাঁর বান্দাহ’র ডাকে সাড়া দেন

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ

তোমাদের রব তোমাদের বলেন “ তোমরা আমাকে ডাকো! আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো!  যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিরত থাকে, অচিরেই তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪০:৬০] / সূরা-আল মুমিন: আয়াত-৬০

শয়তান

শয়তান

وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيْطَانُ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

শয়তান যেন কোন অবস্থাতেই ( কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করা থেকে ) তোমাদের বিচ্যুত করতে না পারে। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪৩:৬২] / সূরা-যুকরুফ: আয়াত ৬২

যুদ্ধে নবী স. ও যুদ্ধক্ষেত্রে সঙ্গীদের সাথে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহন

যুদ্ধে নবী স. ও যুদ্ধক্ষেত্রে সঙ্গীদের সাথে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহন

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏انْتَدَبَ ‏ ‏اللَّهُ لِمَنْ خَرَجَ فِي سَبِيلِهِ لَا يُخْرِجُهُ إِلَّا إِيمَانٌ بِي وَتَصْدِيقٌ بِرُسُلِي أَنْ أُرْجِعَهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ أَوْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَلَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ‏ ‏مَا قَعَدْتُ ‏ ‏خَلْفَ ‏ ‏سَرِيَّةٍ ‏ ‏وَلَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِيمَانِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الْجِهَادُ مِنْ الْإِيمَانِ ‏


সেই পবিত্র সত্তার শপথ করে বলছি, যার মুঠির মধ্যে আমার প্রাণ। যদি কিছু সংখ্যক মু’মিন-মুসলমান এমন না হত, যারা আমার সঙ্গে জিহাদে অংশ গ্রহণ না করাকে আদৌ পছন্দ করবে না, অথচ তাদের সবাইকে আমি বহনকারী জন্তুর ব্যবস্থা করতে পারছি না, এ অবস্থা না হলে আল্লাহ’র পথে কোন যুদ্ধরত কোন ক্ষুদ্র সেনাদল হতেও দূরে থাকতাম না।

যার হাতে আমার প্রাণ সেই মহান সত্তার শপথ করে বলছি, আমার কাছে খুব কাঙ্খিত যে, আমি আল্লাহর পথে নিহত হই, অতঃপর জীবন লাভ করি। আবার নিহত হই, আবার জীবন লাভ করি এবং আবারও নিহত হই, তারপরও আবার জীবন লাভ করি।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। [বুখারী, কিতাবুল ঈমান, অধ্যায় জিহাদ ][মুসলিম] , [মিশকাত: ৩৬১৬, অধ্যায় জিহাদ পর্ব]

জান্নাতের অধিবাসী ও বিযুক্ত হয়ে যাওয়া অপরাধীরা

জান্নাতের অধিবাসী ও বিযুক্ত হয়ে যাওয়া অপরাধীরা

إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ ﴿٥٥﴾ هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ ﴿٥٦﴾ لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ ﴿٥٧﴾ سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ ﴿٥٨﴾ وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ ﴿٥٩﴾

অবশ্যই জান্নাতের অধিবাসীরা মহা আনন্দে বিভোর থাকবে। তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে। সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে তা-ই। করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। ( আর পাপীদের উদ্দেশ্যে বলা হবে) হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩৬:৫৫-৫৯] / সূরা- ইয়াসিন: আয়াত ৫৫-৫৯

নৈরাশ্যজনক কথা বলে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করা নবী স. এর সুন্নত নয়

নৈরাশ্যজনক কথা বলে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করা নবী স. এর সুন্নত নয়

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِذَا بَعَثَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِهِ فِي بَعْضِ أَمْرِهِ قَالَ ‏ ‏بَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا وَيَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا
_____________________
صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏فِي الْأَمْرِ بِالتَّيْسِيرِ وَتَرْكِ التَّنْفِيرِ ‏


রাসূল স. যখন-ই তাঁর কোন সঙ্গীকে কোন কাজে পাঠাতেন, তখন তাকে এভাবে উপদেশ দিতেন, তোমরা লোকদের আশার কথা শুনাবে, নৈরাশ্যজনক কথা বলে তাঁদের বীতশ্রদ্ধ করে তুলবে না। তাঁদের সাথে উদার ব্যবহার করবে, কঠোর ব্যবহার করবে না।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম, কিতাবুল জিহাদ ওয়াস্সাইর] ,[মিশকাত ৩৫৫২, অধ্যায়: শাসিতের প্রতি সহনশীলতা]

বাস্তবিক অর্থে কৃতকার্য যারা


বাস্তবিক অর্থে কৃতকার্য যারা

وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ [٢٤:٥٢]

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই কৃতকার্য
______________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৪:৫২] / সূরা- আন নূর: আয়াত ৫২

প্রতারক ও আত্মসাৎকারী শাসক

প্রতারক ও আত্মসাৎকারী শাসক

أَتَيْنَا ‏ ‏مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ ‏ ‏نَعُودُهُ فَدَخَلَ عَلَيْنَا ‏ ‏عُبَيْدُ اللَّهِ ‏ ‏فَقَالَ لَهُ ‏ ‏مَعْقِلٌ ‏ ‏أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَيَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَحْكَامِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً ‏ ‏فَلَمْ يَنْصَحْ ‏


যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম জনগণের শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক বা আত্মসাৎকারী হিসেবে মরে, আল্লা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] , [মিশকাত: ৩৫১৭, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

তিনি মৃতকে জীবিত করেন আর জীবিতকে মৃত করেন

তিনি  মৃতকে জীবিত করেন আর জীবিতকে মৃত করেন

يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ [٣٠:١٩]

তিনি মৃত থেকে জীবন্ত কিছুর আবির্ভাব ঘটান, এক-ই ভাবে জীবন্ত কিছু থেকে মৃতকে বের করে আনেন, তিনিই যমীনকে নির্জীব অবস্থার পর আবারো জীবন দান করেন; ঠিক এভাবে তোমাদেরকেও(কিয়ামতের দিন) আবার জীবিত করে ওঠানো হবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩০:১৯] / সূরা- আর রোম: আয়াত ১৯

শাসক হওয়ার আকাঙ্খা পোষণকারীকে শাসক নিযুক্ত করা ইসলাম সম্মত নয়

শাসক হওয়ার আকাঙ্খা পোষণকারীকে শাসক নিযুক্ত করা ইসলাম সম্মত নয়

‏دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنَا وَرَجُلَانِ مِنْ بَنِي عَمِّي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِّرْنَا عَلَى بَعْضِ مَا وَلَّاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ الْآخَرُ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ ‏إِنَّا وَاللَّهِ لَا نُوَلِّي عَلَى هَذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهُ وَلَا أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏النَّهْيِ عَنْ طَلَبِ ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏ ‏وَالْحِرْصِ عَلَيْهَا
হযরত আবু মুসা র. বলেন, একবার আমি ও আমার দুজন চাচাত ভাই নবী স. এর কাছে গেলাম। তখন সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহ’র রাসূল! আল্লাহ আপনাকে যে সব কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনি আমাদেরকেও  তার  মধ্যে হতে কোন একটির শাসক হিসেবে নিযুক্ত করুন। এর পর দ্বিতীয়জনও এক-ই রকম কথা বলল।

উত্তরে রাসূল স. বললেন:

আল্লাহ’র কসম! আমরা এ কাজে (শাসক পদে)  এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার প্রার্থি হয় এবং ঐ ব্যক্তিকেও না, যে তার (শাসন ক্ষমতার) জন্য লালায়িত। অন্য এক রেয়াতে আছে, নবী স. বললেন, আমরা আমাদের কোন কাজেই এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার আকাঙ্খা করে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  বুখারী ও মুসলিম ,  [মিশকাত, ৩৫১৪, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

নামাযের উপর অবিচল থাকা


নামাযের উপর অবিচল থাকা

وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكَ ۗ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ [٢٠:١٣٢]
(হে নবী) তোমার পরিবার পরিজনকে নামাযের আদেশ দাও এবং (নিজেও) তার ওপর অবিচল থেকো, আমি তো তোমার কাছে কোনরকম রিযিক চাই না, রিযিক তো আমিই তোমাকে দেই; আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার জন্যেই রয়েছে উত্তম পরিণাম।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২০:১৩২] / সূরা-ত্বাহা: আয়াত ১৩২

আল্লাহ তাআলার প্রশংসা

আল্লাহ তাআলার প্রশংসা

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّ اللَّهَ ‏ ‏لَيَرْضَى عَنْ الْعَبْدِ أَنْ يَأْكُلَ الْأَكْلَةَ فَيَحْمَدَهُ عَلَيْهَا أَوْ يَشْرَبَ الشَّرْبَةَ فَيَحْمَدَهُ عَلَيْهَا ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الذِّكْرِ وَالدُّعَاءِ وَالتَّوْبَةِ ‏ ‏وَالِاسْتِغْفَارِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اسْتِحْبَابِ حَمْدِ اللَّهِ تَعَالَى بَعْدَ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ ‏

আল্লাহ তাআলা তাঁর সে বান্দাদের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, যে এক গ্রাস খাবার খেয়ে তাঁর প্রশংসা করে অথবা এক ঢোক পানি পান করে তাঁর শুকরিয়া করে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: মুসলিম কিতাবুযযিকর [মিশকাত-৪০১৮]