Wednesday, January 26, 2011

অনলে আত্মাহুতি




‏سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏يَقُولُ ‏ ‏إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ النَّاسِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ جَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ الَّتِي تَقَعُ فِي النَّارِ يَقَعْنَ فِيهَا فَجَعَلَ يَنْزِعُهُنَّ وَيَغْلِبْنَهُ فَيَقْتَحِمْنَ فِيهَا فَأَنَا آخُذُ بِحُجَزِكُمْ عَنْ النَّارِ وَهُمْ يَقْتَحِمُونَ فِيهَا ‏ صحيح بخاري /‏كِتَاب ‏ ‏الرِّقَاقِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الِانْتِهَاءِ عَنْ الْمَعَاصِي ‏

আমার উদাহরণ সেই লোকের মত যে আগুন জ্বালালো এবং যখন আগুন চারিদিক আলোকিত করল, পতঙ্গরা ও ঐসব কীট, যারা আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দলে দলে তাতে (আগুনে) ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল, সে (লোক) তাদের বাধা দিতে লাগল কিন্তু তারা তাঁকে পরাস্ত করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল। (ঠিক তেমনিভাবে) আমিও (নবী স.)  তাঁদের (মানুষদের) কোমর ধরে আগুন থেকে টানছি আর তাঁরা তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে!

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: [বুখারী-কিতাবুর- রিকাক] ও মুসলিম-

নির্ভরশীলতা




وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ ۚ فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَإِنَّمَا عَلَىٰ رَسُولِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ [٦٤:١٢]اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ [٦٤:١٣]
তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, আনুগত্য কর (তাঁর) রাসূলের, তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে (জেনে রাখো) আমার রাসূলের দায়িত্ব (হচ্ছে আমার কথাগুলো) সুস্পষ্টভাবে পৌছে দেয়া। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। অতএব প্রতিটি ঈমানদার বান্দার উচিত সমস্ত বিষয়ে তাঁর (আল্লাহ তাআলার) উপর-ই নির্ভর করা।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [] / সূরা-: আয়াত

Monday, January 24, 2011

সর্বগ্রাসী নৈতিক অবক্ষয়ের সময়ে সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা

من تمسك بسنتى عند فساذ امتى فله اجر مائت شهيد

যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ে যাবার কালে আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য একশ শহীদের সওয়াব রয়েছে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:বায়হাকি, কিতাবুজ-জিহাদ

আনুগত্য দুষ্ট লোকদের জন্য নয়

وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ  الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ

সীমালংঘনকারী মানুষদের কথা শুনো না, যারা জমিনে শুধু বিপর্যয়-ই সৃষ্টি করে এবং কখন সংশোধন করে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৬:১৫১-৫২] / সূরা- আশ-শোআরা: আয়াত ১৫১-১৫২

Friday, January 21, 2011

হযরত নূহ তাঁর জাতির প্রতি

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَٰهٍ غَيْرُهُ ۖ أَفَلَا تَتَّقُونَ

অবশ্যই আমি নূহকে তাঁর জাতির কাছে পাঠিয়েছিলাম, সে বলেছিল: হে আমার জাতি তোমরা এবাদত করো একমাত্র আল্লাহ তাআলার, তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোন মাবুদ নেই; তোমরা কি তাকে ভয় করবে না? তখন তার জাতির মাতাব্বরেরা যারা কুফরীতে লিপ্ত ছিল, বলল “ এ তো আমাদের মতই একজন মানুষ।, (আসলে) এ ব্যক্তি তোমাদের ওপর নেতৃত্ব করতে চায়; আল্লাহ তাআলা যদি (নবী পাঠাতেই চাইতেন) তাহলে ফেরেশ্তাদের (নবী করে) পাঠাতেন, আমরা তো (নবীরা আমাদের মত মানুষ হয়ে থাকে) এমন কোনো কথা আমাদের পূর্বপুরুষদের যুগে শুনিনি

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৩:২৩-২৪] / সূরা- আল মুমিনুন: আয়াত ২৩-২৪

Wednesday, January 19, 2011

মিথ্যা

اذا كذب العبد تباعد عنه الملك ميلا من نتن ماجاء به

যখন কোন বান্দা মিথ্যা বলে, তখন তার দুর্গন্ধে ফেরেশতা তাঁর থেকে এক মাইল দূরে চলে যায়।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার থেকে বর্ণিত। [তিরমিযী] ও [মিশকাত ৪৬৩১ - অধ্যায়- জিহবার সংযম, গীবতও গালমন্দ প্রসঙ্গ]

জিহ্বা




‏قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ ‏ ‏قُلْ ‏ ‏رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَضَاحِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا لَا يَجُوزُ مِنْ الْأَضَاحِيِّ
 
..একবার আমি জিজ্ঞেস করলাম হে আল্লাহ’র রাসূল! আমার মধ্যে যে জিনিষগুলো ভয়ের কারণ বলে আপনি মনে করেন তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর কোনটি? তখন তিনি স. নিজেরজিহ্বা ধরে বললেন “ এটি ”

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ র. থেকে বর্ণিত। [তিরমিযী] ও [মিশকাত ৪৬৩০, অধ্যায়- জিহবার সংযমগীবতও গালমন্দ প্রসঙ্গ]

Tuesday, January 18, 2011

সাক্ষাত

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ فِي نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَمَالِهِ حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الصَّيْدِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي ‏ ‏الذَّكَاةِ ‏ ‏بِالْقَصَبِ وَغَيْرِهِ ‏
রাসূল (সা) বলেছেন ,মুমিন পুরুষ অথবা নারীর বিপদ লেগেই থাকে- তার নিজের শরীরে, তার মাল-সম্পদে অথবা তার সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে, যতক্ষন না সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করে। তখন তার উপর কোন গুনার বোঝাই থাকে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত] তিরমিযীঃ তিরমিযী বলেন হাদিসটি  শুধু হাসান নয় বরং সহিহ্ [ মিশকাতঃ১৪৮১]

কোরআন অনুসরণের পথে ধৈর্য




وَاتَّبِعْ مَا يُوحَىٰ إِلَيْكَ وَاصْبِرْ حَتَّىٰ يَحْكُمَ اللَّهُ ۚ وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ

(হে নবী) আপনার উপর যে পথনির্দেশনা (কোরআন) অবতীর্ণ করা হয়েছে আপনি তার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন, যে পর্যন্ত আল্লাহ কোন ফায়সালা না করেন, (কেননা) তিনিই হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারি।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [১০:১০৯] / সূরা-ইউনুস: আয়াত ১০৯

Sunday, January 16, 2011

সংযত দৃষ্টি




قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

(হে নবী)আপনি মুমিনদেরকে বলুনতারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গ হেফাযত করে। এটাই তাদের জন্যভাল পথ নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন।


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৪:৩০] / সূরা- নূর: আয়াত ৩০

Friday, January 14, 2011

নির্বোধ মুনাফিক

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

তাদের যখন বলা হয়, অন্য লোকেরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও ঠিক সেভাবে ঈমান আন, (তখন) তারা (মুনাফিকরা) বলে আমরাও কি নির্বোধ লোকদের মত ঈমান আনবো? (আসলে) নির্বোধ ত হচ্ছে এরা নিজেরাই, যদিও তারা তা বোঝে না (অর্থাৎ নিজেদের তারা বুদ্ধিমান ভেবে অভ্যস্ত)
তথ্য সূত্র: কোরআন [২:১৩] / সূরা-বাকারা: আয়াত-১৩

মাথা নত করে সালাম দেয়া ইসলাম সম্মত নয়

‏قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ مِنَّا يَلْقَى أَخَاهُ أَوْ صَدِيقَهُ ‏ ‏أَيَنْحَنِي لَهُ قَالَ ‏ ‏لَا قَالَ ‏ ‏أَفَيَلْتَزِمُهُ ‏ ‏وَيُقَبِّلُهُ قَالَ لَا قَالَ أَفَيَأْخُذُ بِيَدِهِ وَيُصَافِحُهُ قَالَ نَعَمْ ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَطْعِمَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي الْمُصَافَحَةِ


এক লোক বলল “ হে আল্লাহ’র রাসূল! আমাদের কেউ যখন তার কোন ভাইয়ের সাথে অথবা কোন বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করে তখন কি তার জন্য মাথা নত করবে?” তিনি স. বললেন “না”। সে আবার জিজ্ঞেস করল, তাকে কি আলিঙ্গন করবে অথবা চুমো দিবে? তিনি স. বললেন: না। সে আবার জিজ্ঞেস করল, তার হাত ধরে মুসাফাহা (handshake) করবে? তিনি স. বললেন: হ্যা।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আনাস থেকে বর্ণিত।তিরমিযী, মিশকাত:৪৪৭৫

Thursday, January 13, 2011

অনুমতি

‏أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فِي ‏ ‏غَزْوَةِ ‏ ‏تَبُوكَ ‏ ‏وَهُوَ فِي ‏ ‏قُبَّةٍ ‏ ‏مِنْ ‏ ‏أَدَمٍ ‏ ‏فَسَلَّمْتُ فَرَدَّ وَقَالَ ادْخُلْ فَقُلْتُ أَكُلِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ كُلُّكَ فَدَخَلْتُ ‏ سنن أبي داؤود / ‏ ‏بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي الْمِزَاحِ ‏


একবার হযরত সাফওয়ান ইবনে উমাইয়্যা [আমাকে দিয়ে] কিছু দুধ, ছোট একটি হরিণের বাচ্চা ও কিছু কাঁকড়ি নবি স. কাছে পাঠালেন। এই সময় নবি স. মক্কার উচ্চ প্রান্তে অবস্থানরত ছিলেন। কাল্দাহ বলেন “ আমি তাঁর (স.) এর কাছে গেলাম অথচ সালাম দিলাম না, অনুমতিও চেয়ে নিলাম না।” তখন নবী স. আমাকে বললেন “ চলে যাও! এবং আবারো এসে বলো, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কাল্দাহ ইবনে হাম্বল থেকে বর্ণিত। আবু দাউদ-কিতাবুল আদাব, তিরমিযী,  মিশকাত - ৪৪৬৬

রাস্তায় বসে থাকা

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ عَلَى الطُّرُقَاتِ فَقَالُوا مَا لَنَا بُدٌّ إِنَّمَا هِيَ مَجَالِسُنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا قَالَ فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلَّا الْمَجَالِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهَا ‏ ‏قَالُوا ‏ ‏وَمَا حَقُّ الطَّرِيقِ قَالَ غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الْأَذَى وَرَدُّ السَّلَامِ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ وَنَهْيٌ عَنْ الْمُنْكَرِ ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَظَالِمِ وَالْغَصْبِ

তোমরা রাস্তার উপর বসা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ। তাঁরা (সাহাবীরা) বললেন: “ হে আল্লাহ’র রাসূল! আমাদের রাস্তার উপর বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ, সেখানে বসে আমরা প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা করি।”  তিনি স. বললেন “ যদি তোমরা সেখানে (রাস্তায়) বসতে একান্ত বাধ্য হও, তবে রাস্তার হক আদায় করবে।” তাঁরা (সাহাবিরা) জিজ্ঞেস করলেন “ রাস্তার হক কী?” তিনি বললেন “ চোখ বন্ধ রাখা, কাউকে কষ্ট না দেয়া, সালামের উত্তর দেয়া, ভাল কাজের আদেশ করা এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করা।

ব্যাখ্যা: যারা মানুষের যাতায়াতের পথে বসে থেকে প্রয়োজনে সামাজিক কথাবার্তা, লেন-দেন কিংবা বেচা-কেনা ইত্যাদি করতে একান্তই বাধ্য, তাদেরকে কয়েকটি ব্যাপারের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. দৃষ্টি অবনত রাখা- যেমন, কোন নারী যাচ্ছে, তাঁর প্রতি দৃষ্টি না দেয়া। পথচারির দোষত্রুটি দেখতে পেলে তা গোপন রাখা এবং কোন পথচারীর সমালোচনা না করা।
২. কাউকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা। যেমন:- পথচারীর চলা-চলের জন্য রাস্তার প্রশস্ত স্থান ছেড়ে বসা, কারো সাথে দুর্ব্যবহার না করা ইত্যাদি।
৩. কোন পথচারি সালাম করলে সালামের জবাব দেয়া।
৪.  ভাল কাজের আদেশ করা এবং কেউ অন্যায় করছে এমন দেখলে বাধা দেয়া।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু সাইদ খুদরী হতে বর্ণিত। বুখারী ও মুসলিম , মিশকাত-৪৪৩৫

Monday, January 10, 2011

অবধারিত নরক

وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি
 জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবেআল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি  প্রস্তুত রেখেছেন। নিসা: ৯৩
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [ ৪:৯৩] / সূরা- নিসা: আয়াত ৯৩

রাস্তায় বসে থাকা

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ عَلَى الطُّرُقَاتِ فَقَالُوا مَا لَنَا بُدٌّ إِنَّمَا هِيَ مَجَالِسُنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا قَالَ فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلَّا الْمَجَالِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهَا ‏ ‏قَالُوا ‏ ‏وَمَا حَقُّ الطَّرِيقِ قَالَ غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الْأَذَى وَرَدُّ السَّلَامِ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ وَنَهْيٌ عَنْ الْمُنْكَرِ ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَظَالِمِ وَالْغَصْبِ

তোমরা রাস্তার উপর বসা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ। তাঁরা (সাহাবীরা) বললেন: “ হে আল্লাহ’র রাসূল! আমাদের রাস্তার উপর বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ, সেখানে বসে আমরা প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা করি।”  তিনি স. বললেন “ যদি তোমরা সেখানে (রাস্তায়) বসতে একান্ত বাধ্য হও, তবে রাস্তার হক আদায় করবে।” তাঁরা (সাহাবিরা) জিজ্ঞেস করলেন “ রাস্তার হক কী?” তিনি বললেন “ চোখ বন্ধ রাখা, কাউকে কষ্ট না দেয়া, সালামের উত্তর দেয়া, ভাল কাজের আদেশ করা এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করা।

ব্যাখ্যা: যারা মানুষের যাতায়াতের পথে বসে থেকে প্রয়োজনে সামাজিক কথাবার্তা, লেন-দেন কিংবা বেচা-কেনা ইত্যাদি করতে একান্তই বাধ্য, তাদেরকে কয়েকটি ব্যাপারের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. দৃষ্টি অবনত রাখা- যেমন, কোন নারী যাচ্ছে, তাঁর প্রতি দৃষ্টি না দেয়া। পথচারির দোষত্রুটি দেখতে পেলে তা গোপন রাখা এবং কোন পথচারীর সমালোচনা না করা।
২. কাউকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা। যেমন:- পথচারীর চলা-চলের জন্য রাস্তার প্রশস্ত স্থান ছেড়ে বসা, কারো সাথে দুর্ব্যবহার না করা ইত্যাদি।
৩. কোন পথচারি সালাম করলে সালামের জবাব দেয়া।
৪.  ভাল কাজের আদেশ করা এবং কেউ অন্যায় করছে এমন দেখলে বাধা দেয়া।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু সাইদ খুদরী হতে বর্ণিত। বুখারী ও মুসলিম , মিশকাত-৪৪৩৫

Saturday, January 8, 2011

আজ থেকে আর কখনো মিস হবে না আপনার নামাজ: ডাউনলোড করুন আজানের সফটওয়্যার

প্রিয় ব্লগারবন্ধুরা, আজকের এই পবিত্র দিনে (শুক্রবার) আপনাদের জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা। কেমন আছেন সবাই, শীতের এই শাদা আমেজে? আজ আপনাদের একটা পবিত্র সফটওয়্যার দিতে আসলাম যা একজন মুসলমান কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য খুব প্রয়োজনীয়। সাধারণত দেখা যায় যে, আমরা যখন দরজা-জানালা বন্ধ করে নিজের কক্ষে বসে অনলাইন সার্ফিং করতে থাকি তখন হয়ত আজানের ধ্বনি শুনতে পাই না  এতে নামাজের ব্যঘাত ঘটে।
আজ থেকে আপনার আর এই সমস্যা হবে না। আপনাদের আমি যে সফটওয়্যারটির সন্ধান দিব সেটি দিয়ে আপনি সহজেই নামাজের সময় সেট করে দিতে পারবেন এবং সরাসরি মক্কা, মদিনা, ইজিপ্ট, পাকিস্তান, আলাস্কা, লেবানন ….. বিভিন্ন জায়গা থেকে আজান শুনতে পাবেন আপনার দেশের নির্দিষ্ট সময়ে। অর্থাৎ আপনাকে শুধু নামাজের সময় ঠিক করে দিতে হবে।
আশা করি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে খুব ভাল লাগবে আর ভাল লাগলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

অবধারিত নরক

وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি  জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি  প্রস্তুত রেখেছেন। নিসা: ৯৩
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [ ৪:৯৩] / সূরা- নিসা: আয়াত ৯৩

Wednesday, January 5, 2011

সাম্প্রদায়িকতা

‏قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏مَا الْعَصَبِيَّةُ قَالَ أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلَى الظُّلْمِ سنن أبي داؤود / ‏ ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ ‏ ‏بَاب ‏ ‏فِي الْعَصَبِيَّةِ ‏

একবার আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহ’র রাসূল ! সাম্প্রদায়িকতা কী? তিনি স. বললেনঃ অন্যায় কাজে তোমার স্বগোত্রকে সাহায্য করা।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: ওয়াসিলা ইবনে আসকা’ থেকে বর্ণিত। আবু দাউদ, কিতাব-শিষ্টাচার, অধ্যায়- সাম্প্রদায়িকতা

পাপ ও শাস্তি

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الْخَيْرَ عَجَّلَ لَهُ الْعُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الشَّرَّ أَمْسَكَ عَنْهُ بِذَنْبِهِ حَتَّى ‏ ‏يُوَافِيَ ‏ ‏بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الصَّيْدِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي الصَّبْرِ عَلَى الْبَلَاءِ ‏

আল্লাহ যখন তার বান্দার ভাল চান, তাকে পৃথিবীতেই (তার পাপ কর্মের) শাস্তি দেন এবং যখন কোন বান্দার অকল্যান করার ইচ্ছা করেন, তাকে ( তার পাপ কর্মের ) শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন। অবশেষে কিয়ামতের দিন তাকে তার পাপকর্মের পূর্ণ শাস্তি দিবেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: তিরমিযী , হযরত আনাস থেকে বর্ণিত

আল্লাহ যাদের ভালবাসেন

وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ

আরো অনক নবীও ছিল, সে নবী (আল্লাহ’র পথে) যুদ্ধ করেছে, তার সাথে  অনেক জ্ঞানবান সাধক (আলেম, ওলামা, দরবেশ) ব্যক্তিরা, আল্লাহ’র পথে তাদের উপর যত বিপদ মুসিবত-ই এসেছে তাতে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েনি, তাঁরা দুর্বলও হয়নি, (দুর্নীতিবাজ,শয়তান, ও নষ্টদের সামনে) তাঁরা মাথা নতও করেনি। (এধরণের) ধৈর্যশীল  ব্যক্তিদের-ই আল্লাহ ভালবাসেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩:১৪৬] / সূরা-আল ইমরান: আয়াত একশ ছিচল্লিশ

প্রকৃতি ও মানবসত্তায় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইঙ্গিত

سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ ۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ

অচিরেই আমি আমার নিদর্শনগুলো দিগন্ত বলয়ে প্রদর্শন করবো এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও ( সে নিদর্শন প্রকাশ করা হতে থাকবে), যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, (কোরআন) সত্য।

এ কথা কি যথেষ্ট নয় যে তোমার রব সব কিছু সম্পর্কে অবহিত?

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  আল কোরআন। সূরা-হামিম আস সাজদাহ। আয়ত-৫৩

imam mosque inisfahan Iran






Monday, January 3, 2011

সূরা নাযিলের সময়কাল, শানে নূযুল, অর্থ এবং ব্যাখ্যাসহ খুবই চমতকার একটি সফটওয়্যার সংগ্রহে রাখুন।


 

কোরআনকে জানার বা বুঝার কোন শেষ নেই। যুগে যুগে বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবীদ, মুফাস্সীলে কোরআন ও মোহাদ্দিসগণ কোরআন কে নিয়ে বিভিন্ন রকম রিসার্চ করে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করেছেন। এমনকি ননমুসলিম অনেক ব্যাক্তি ও বৈজ্ঞানিকগণ এখনও কোরআন দিযে নানাভাবে লাভবান হচ্ছেন, এবং অনেকে আল্লাহার পক্ষ থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান করে নিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন যে, "এখানে (কোরআনে) জ্ঞানিদের জন্য জানার অনেক কিছু রয়েছে"। তাই আসুন কোরআন পড়ি, বুঝি ও সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি। আল্লাহ্ আমাদের তৌফিক দান করুন।(আমিন)। যারা সফট্ওয়্যারটি সংগ্রহ করতে চান তারা এখানে ভিজিট করে ডাউনলোড করে নিন

Saturday, January 1, 2011

পবিত্র ক্বুরআন শরীফ - সাথে ইংরেজী ও বাংলা অনুবাদ

"বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম "
আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের কাছে একটা কোরআন শরিফ শেয়ার করছি। কোরআন সম্বন্ধে জানা, বুঝা ও কোরআন পড়াটা আসলেই আমাদের প্রধান কাজ ছিল। কিন্তু আজ আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। কোরআনের প্রতি আমাদের এই চরম অবহেলার ফল আমাদের অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আজ কোরআনকে আমাদের একটি জড় বস্তু মনে হচ্ছে; কিন্তু কাল কেয়ামতে এটা আমাদের পক্ষে বা বিপক্ষে মৌখিক স্বাক্ষি দিবে। সেদিন কোরআনের এক বিশেষ শক্তি হবে। তাঁকে গ্রহণ করার জন্য সে আমদের বেহেশতে টেনে নিয়ে যাবে; আর অবহেলা করার জন্য আমাদেরকে দোযখে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আসবে।। এটা মুলত একটা সফটওয়্যার। ইংরেজি, আরবী ও বাংলা এই তিনটি ভাষায় কোরআন শরীফটি অনুবাদ করা হয়েছে। এর সাইজ মাত্র ১.৭০ কেবি। নিচের স্ত্রীনশটটা দেখুনঃ



ডাউনলোডঃ


Size: 1.74 MB

সত্যের বাণী সকলের কাছে পৌছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব প্রতিটি মুসলিমের।

ইসলাম বিরোধী কেউ হ্যাক করে সফট্ওয়্যারটি সরিয়ে দিয়েছে। তাই সরাসরি সাইট থেকে আরবি-বাংলা-ইংরেজী কোরআন্ পড়তে এখানে ক্লিক করুন