Sunday, December 26, 2010

নবী স. এর হাস্যরসবোধ

‏رُبَّمَا قَالَ ‏ ‏لِيَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏يَا ذَا الْأُذُنَيْنِ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏بَاب ‏ ‏مَنَاقِبِ ‏ ‏أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏ ‏رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏  

একবার নবী স. তাঁকে (হযরত আনাসকে) লক্ষ্য করে বললেন “ ওহে! দুই কানওয়ালা!”

__________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আনাস থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ ও তিরমীযি, কিতাব-শিষ্টাচার,অধ্যায়, মানাক্বীব

Saturday, December 25, 2010

অদ্ভুত!

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ ۖ قَالَ مَن يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ

সে (মানুষ) আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে হাড্ডিগুলোকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩৪:৭৮-৭৯] / সূরা-সাবা: আয়াত-৭৮-৭৯

Masjid al astiglal, jakarta, indonesia

Thursday, December 23, 2010

IF THEY ARE DO AT CRITICAL MOMENT. THEN WHY WE ARE NOT ABALE TO DO AT NORMAL CONDITATION???????????????










মৃত্যুশোকে বিলাপ করা

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ أَوْ ‏ ‏شَقَّ الْجُيُوبَ ‏ ‏أَوْ دَعَا ‏ ‏بِدَعْوَى ‏ ‏الْجَاهِلِيَّةِ- صحيح مسلم / كتاب الإيمان_ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏الْجَنَائِزِ

সে আমাদের লোক নয়, যে (মৃত্যুশোকে) নিজের মুখে হাতের তালু দিয়ে আঘাত করে, জামার গলা ছিড়ে ফেলে এবং অন্ধকার যুগের মত হা হুতাশ করে।

_____________________________________________
সহীহ মুসলিম-কিতাবুল ঈমান, সহী বুখারী-কিতাব জানাযা ও মিশকাত ১৬৩৩


ব্যাখ্যা: মৃত্যুশোকে চিৎকার করে কান্নাকাটি ও বিলাপ করাকে প্রচণ্ডভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে। তবে যে কান্নার মধ্যে কোন বাড়বাড়ি ও বিলাপ নেই, তা নাজায়েয নয়। যেমন বুখারী শরিফের অন্য একটি হাদীস:
دَخَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏عَلَى ‏أَبِي سَيْفٍ الْقَيْنِ ‏وَكَانَ ‏ظِئْرًا ‏لِإِبْرَاهِيمَ ‏عَلَيْهِ السَّلَام ‏فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏إِبْرَاهِيمَ ‏فَقَبَّلَهُ وَشَمَّهُ ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ ‏وَإِبْرَاهِيمُ ‏يَجُودُ بِنَفْسِهِ فَجَعَلَتْ عَيْنَا رَسُولِ اللَّهِ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏تَذْرِفَانِ فَقَالَ لَهُ ‏عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ ‏رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ يَا ‏ابْنَ عَوْفٍ ‏إِنَّهَا رَحْمَةٌ ثُمَّ أَتْبَعَهَا بِأُخْرَى فَقَالَ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏إِنَّ الْعَيْنَ تَدْمَعُ وَالْقَلْبَ يَحْزَنُ وَلَا نَقُولُ إِلَّا مَا يَرْضَى رَبُّنَا وَإِنَّا بِفِرَاقِكَ يَا ‏إِبْرَاهِيمُ ‏لَمَحْزُونُونَ- صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏الْجَنَائِزِ

এ হাদিসটির বর্ণনায়  নবী স. তাঁর একমাত্র শিশুপুত্র ঈব্রাহীমের মৃত্যুতে প্রচণ্ড কষ্ট পান ও নীরবে অশ্রুসিক্ত হন, যার মধ্যে কোনরকম বাড়াবাড়ি ও বিলাপ নেই। সাহাবী ইবনে আওফ অবাক হলেন । জিজ্ঞেস করলেন আপনিও কি কাঁদছেন? নবী জবাবে বললেন " হে আউফ !এ হল দয়া"। এরপর আবারও রাসূল স. নীরবে অশ্রুসিক্ত হলেন। এক কথায়  বিলাপ ও চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি করাটা ইসলামের দৃষ্টিতে ভয়ানক অপছন্দ করা হয়েছে। তবে যে কান্না বিলাপহীন ও কোন রকমের বাড়বাড়ি থেকে মুক্ত, তাতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
___________________

মা বাবার মৃত্যুর পরও তাদের সাথে কীভাবে ভাল আচরণ অব্যাহত রাখা যায়?

بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ ‏ ‏بَنِي سَلَمَةَ ‏ ‏فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَقِيَ مِنْ بِرِّ أَبَوَيَّ شَيْءٌ أَبَرُّهُمَا بِهِ بَعْدَ مَوْتِهِمَا قَالَ ‏ ‏نَعَمْ الصَّلَاةُ عَلَيْهِمَا ‏ ‏وَالِاسْتِغْفَارُ لَهُمَا وَإِنْفَاذُ عَهْدِهِمَا مِنْ بَعْدِهِمَا وَصِلَةُ الرَّحِمِ الَّتِي لَا تُوصَلُ إِلَّا بِهِمَا وَإِكْرَامُ صَدِيقِهِمَا سنن أبي داؤود / ‏ ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَدَبِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏فِي بِرِّ الْوَالِدَيْنِ

একবার আমরা রাসূল স. এর কাছে বসে ছিলাম। এমন সময় বনু সালিমা গোত্রের একজন এসে বললেন " হে আল্লাহ'র রাসূল আমার মা বাবার মৃত্যুর পরও কি তাদের প্রতি সদাচরণ করার কোন উপায় আছে?" নবী বললেন " হ্যা, তাদের জন্য দোআ ও ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের মৃত্যুর পর তাদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করা, শুধু তাদের সন্তুষ্টির জন্য আত্মীয়দের সাথে ভাল ব্যবহার করার এবং তাদের বন্ধু-বান্ধবের প্রতি সম্মানসূচক ব্যবহার করা।"


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: আবু উসাইদ সায়েদী থেকে বর্ণিত। ইবনে মাজাহ ও আবু দাউদ- কিতাবুলআদাব, অধ্যায়,পিতামাতার সাথে সদাচারণ

মু’মিন

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ فِي نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَمَالِهِ حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الصَّيْدِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي ‏ ‏الذَّكَاةِ ‏ ‏بِالْقَصَبِ وَغَيْرِهِ ‏

..রাসূল (সা) বলেছেন ,মুমিন পুরুষ অথবা নারীর বিপদ লেগেই থাকে- তার আপন শরীরে, তার মাল-সম্পদে অথবা তার সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে, যতক্ষন না সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করে। তখন তার উপর কোন গুনার বোঝাই থাকে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত] তিরমিযীঃ[ মিশকাতঃ১৪৮১

রাসূল স. বললেন “সাবধান!”

‏قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَعَظْتَنَا مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَاعْهَدْ إِلَيْنَا بِعَهْدٍ فَقَالَ ‏ ‏عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا وَسَتَرَوْنَ مِنْ بَعْدِي اخْتِلَافًا شَدِيدًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا ‏ ‏بِالنَّوَاجِذِ ‏ ‏وَإِيَّاكُمْ وَالْأُمُورَ الْمُحْدَثَاتِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ ‏ سنن إبن ماجه / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمُقَدِّمَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اتِّبَاعِ سُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ ‏

...রাসূল স. আমাদের নামায পড়ালেন। অতঃপর আমাদের মুখের দিকে মুখ ফিরিয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে এমন মর্মস্পর্শী নসীহত করলেন তা শুনে আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত ও অন্তরগুলো বিগলিত হল। এসময় এক ব্যক্তি বলে উঠল। হুজুর এ যেন বিদায় গ্রহণকারীর শেষ উপদেশ। আমাদের আরও কিছু উপদেশ দিন! তখন নবী স. বললেন “ তোমাদেরকে  আমি আল্লাহকে ভয় করতে উপদেশ দিচ্ছি এবং (ইমাম বা নেতার কথা) শুনতে ও (তাঁর) অনুগত থাকতে উপদেশ দিচ্ছি, এমনকি সে (ইমাম বা নেতা) যদি হাবশী গোলামও হয়।

আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অল্পদিনের মধ্যেই অনেক মতভেদ দেখবে, তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। অতএব, সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত-ই পথভ্রষ্টতা।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া থেকে বর্ণিত। আহমদ , আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ,  মিশকাত-১৫৮

নামাযের পর প্রায়শ যে দোআ পড়তেন ‏ রাসূল সা.

‏أَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏كَانَ يَقُولُ فِي ‏ ‏دُبُرِ ‏ ‏كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ ‏ ‏لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَذَانِ ‏‏بَاب ‏ ‏الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ ‏

রাসূল সা. প্রত্যেক ফরয নামাজের পর বলতেন, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, তিঁনি একক,তাঁর কোন শরীক নাই,তাঁর-ই রাজত্ব,এবং তাঁর-ই প্রশংসা তিনি সর্বশক্তিমান। হে আল্লাহ, তুমি যা দিতে চাও তাতে কেউ বাঁধা দিতে পারে না এবং তুমি যা আটকে রাখতে চাও তা কেউ দিতে পারে না, কোন সম্পদশালীর সম্পদই তাকে তোমার কাছ থেকে  রক্ষা করতে পারে না। 


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: [হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা (রা) থেকে বর্নিত] বুখারী [আযানের অধ্যায়] ও মুসলিম  মিশকাতঃ৯০০ আধ্যায়ঃনামাযের পর দো’য়া।

Wednesday, December 22, 2010

এক বছর

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَغَسَّلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَدَنَا وَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ ‏ ‏يَخْطُوهَا أَجْرُ سَنَةٍ صِيَامُهَا وَقِيَامُهَا ‏ سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْجُمُعَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مِنْهُ ‏
রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিনে(জামা কাপড়) ধুবে ও গোসল করবে এবং তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়ে মসজিদে যাবে এবং যানবাহনে না যেয়ে পায়ে হেঁটে মসজিদে পৌছে ইমামের কাছে বসবে, তারপর তাঁর খুতবা শুনবে এবং অনর্থক কিছু করবে না, তার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের আমলের সওয়াব হবে। অর্থাৎ, এক বছরের দিনের রোযা ও রাতের নামাযের সওয়াব হবে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:বুখারী ও মুসলিম , আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, মিশকাত

Thursday, December 16, 2010

Masjid Al - Astiglal, Jakarta, Indonesia............

Masjid Al - Astiglal, Jakarta, Indonesia............

টাকা

‏سَمِعْتُ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏يَقُولُ ‏ ‏لَوْ كَانَ لِابْنِ ‏ ‏آدَمَ ‏ ‏وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لَابْتَغَى ثَالِثًا وَلَا يَمْلَأُ جَوْفَ ابْنِ ‏ ‏آدَمَ ‏ ‏إِلَّا التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الرِّقَاقِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا يُتَّقَى مِنْ فِتْنَةِ الْمَالِ ‏ ‏وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏ ‏إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ

নবী স. বলেছেন " আদম সন্তানকে ধন দৌলত ভরপুর দুইটি উপত্যকাও যদি দেয়া হয় তবুও সে তৃতীয়টির জন্য  আকাঙ্ক্ষা করবে। আসলে, আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া অন্য কিছুই পূর্ণ করতে পারে না; আর যে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা করে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। মুসলিম ও বুখারী। কিতাবুর রিকাক

Wednesday, December 15, 2010

নামাযের পর প্রায়শ যে দোআ পড়তেন ‏ রাসূল সা.

‏أَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏كَانَ يَقُولُ فِي ‏ ‏دُبُرِ ‏ ‏كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ ‏ ‏لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ


‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَذَانِ ‏‏بَاب ‏ ‏الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ ‏


রাসূল সা. প্রত্যেক ফরয নামাজের পর বলতেন, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, তিঁনি একক,তাঁর কোন শরীক নাই,তাঁর-ই রাজত্ব,এবং তাঁর-ই প্রশংসা তিনি সর্বশক্তিমান। হে আল্লাহ, তুমি যা দিতে চাও তাতে কেউ বাঁধা দিতে পারে না এবং তুমি যা আটকে রাখতে চাও তা কেউ দিতে পারে না, কোন সম্পদশালীর সম্পদই তাকে তোমার কাছ থেকে রক্ষা করতে পারে না।




____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: [হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা (রা) থেকে বর্নিত] বুখারী [আযানের অধ্যায়] ও মুসলিম মিশকাতঃ৯০০ আধ্যায়ঃনামাযের পর দো’য়া।

ইনসাফ ও আমানত

إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন তা করবে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে। আল্লাহ তোমাদের মঙ্গলময় উপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪:৫৮] / সূরা-নিসা : আয়াত ৫৮

Sunday, December 12, 2010

Online PC Doctor

http://www.virtualpcdoctor.blogspot.com/

পথভ্রষ্টতা

من تعلم كتاب الله ثم اتبع ما فيه هداه الله من اضلا لة في الدنيا و وقاه يوم القيامة سوء الحساب وفي رواية قال من اقندى بكتاب الله يضل في الدنيا ولا يشقي فى الاخرة ثم تلا هذه الاية فمن اتبع هداى فلا يصل ولا يشقي

..যে আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করেছে, অতঃপর তাতে যা আছে তা অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাআলা তাকে পৃথিবীতে পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন এবং পরকালে তাকে হিসেবের কষ্ট হতে রক্ষা করবেন। অপর বর্ণনায় আছে- তিনি স. বলেছেন যে আল্লাহর কিতাব অনুসরণ করবে, সে পৃথিবীতে পথভ্রষ্ট হবে না এবং পরকালেও হতভাগ্য হবে না। অতঃপর তিনি এই আয়াত তেলাওয়াত করেন- فمن اتبع هداى فلا يصل ولا يشقي (অর্থাৎ যে আমার হেদায়েতের অনুসরণ করবে, সে (পৃথিবীতে) পথভ্রষ্ট গোমরাহ হবে না এবং ভাগ্যহতও হবে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। [মিশকাত: ১৮১ অধ্যায়: কিতাব ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরা]

Saturday, December 11, 2010

মিথ্যা

كفى بالمرء كزبا ان يحدث بكل ماسمع- رواه مسلم

রাসূল (সা) বলেন ,কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (তা সত্যতা যাচাই না করে) তাই বলবে (তা বলে বেড়াবে)।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নীত] মুসলিম , মিশকাতঃ১৪৯

অনুগ্রহ

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لَا يَرْحَمُ النَّاسَ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏التَّوْحِيدِ ‏
‏ بَاب ‏ ‏قَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ‏ ‏قُلْ ادْعُوا اللَّهَ ‏ ‏أَوْ ادْعُوا الرَّحْمَنَ أَيًّا مَا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى

রাসূল সা. বলেছেন,আল্লাহ তা’য়ালা সেই ব্যাক্তির উপর দয়া করেন না,যে ব্যাক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: [হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্নিত।বুখারী [তাওহিদের অধ্যায়]ও মুসলিম মিশকাতঃ৪৭৩০ অধ্যায়ঃসৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করা।

গালিগালাজ

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏الْمُسْتَبَّانِ مَا قَالَا فَعَلَى الْبَادِئِ مَا لَمْ يَعْتَدِ الْمَظْلُومُ ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْبِرِّ وَالصِّلَةِ وَالْآدَابِ بَاب ‏ ‏النَّهْيِ عَنْ السِّبَابِ ‏ ‏

রাসুল সা. বলেছেন,এমন দুই ব্যাক্তি যারা পরস্পর গাল-মন্দ করল,তখন গালির পাপ সেই ব্যাক্তির হবে যে প্রথম গালি দিয়েছে,যতক্ষন পর্যন্ত নির্যাতিত ব্যাক্তি সীমাতিক্রম করে।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:[হযরত আনাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত] মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৭ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন্দ প্রসঙ্গে।

সমাজের পাপাচারে আলেম সমাজদের নীরবতা অনুচিৎ

لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ عَن قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَصْنَعُونَ

দরবেশ ও আলেমরা কেন তাদেরকে পাপ কথা বলতে এবং হারাম খেতে নিষেধ করে না? তারা খুবই মন্দ কাজ করছে।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৫:৬৩] / সূরা-মায়েদা: আয়াত-৬৩

¢ব্যাখ্যা: ইহুদি আলেমদের বৃহত্তম অপরাধ এই ছিল যে, তারা আল্লাহর কিতাবের জ্ঞান সর্বসাধারণ্যে প্রচার করার পরিবর্তে তাকে রাব্বী ও একটি সীমিত ধর্মীয় পেশাদার গোষ্ঠীর মধ্যে আবদ্ধ রেখেছিল ৷ জাতি –ধর্ম নির্বিশেষে সাধারণ জনমানুষ তো দূরের কথা ইহুদি জনতাকেও এই জ্ঞানের স্পর্শ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল ৷ সাধারণ অজ্ঞতার কারণে জনগণ যখন ব্যাপকভাবে ভ্রষ্টতা শিকার হলো তখন ইহুদি আলেমসমাজ জনগণের চিন্তাও কর্মের সংস্কার সাধনে ব্রতী হয়নি ৷ বরং উল্টো জনগণের মধ্যে নিজেদের জনপ্রিয়তা অব্যাহত রাখার জন্য যে ভ্রষ্টতা ও শরীয়াত বিরোধী কর্ম জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তো তাকে তারা নিজেদের কথা ও কাজের সাহায্যে অথবা নীরব সমর্থনের মাধ্যমে বৈধতার ছাড়পত্র দান করতো ৷ এই ধরনের প্রবণতা ও কর্মনীতি অবলম্বন না করার জন্য মুসলমানদেরকে তাকীদ করা হচ্ছে ৷ সমগ্র বিশ্ববাসীকে হিদায়াত করার গুরুদায়িত্ব যে উম্মাতের ওপর সোপর্দ করা হয়েছে , সেই হিদায়াতকে কৃপণের ধনের মতো আগলে না রেখে বেশী করে সম্প্রসারিত করাই হচ্ছে তার কর্তব্য ৷

Friday, December 10, 2010

বোখারি হাদিস বাংলাতে

বোখারি হাদিস বাংলাতে পড়তে লগ ইন করুন --- http://www.banglakitab.com/BukhariShareef.htm তে ।

কুরআন পড়ুন বাংলাতে অর্থ সহ

বাংলাতে অর্থ সহ কুরআন পড়ার জন্য ভিসিট করুন - www.tanzil.info তে। এখানে অডিও শুনার ব্যবস্হা আছে।

আশিবার্দের ফেরেশ্তারা যে ঘরে প্রবেশ করে না

আশিবার্দের ফেরেশ্তারা যে ঘরে প্রবেশ করে না

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ ‏ صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏بَدْءِ الْخَلْقِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏إِذَا وَقَعَ الذُّبَابُ فِي شَرَابِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْمِسْهُ ‏ ‏فَإِنَّ فِي إِحْدَى جَنَاحَيْهِ دَاءً وَفِي الْأُخْرَى شِفَاءً ‏

নবী স. বলেছেন “ ফেরেশতারা সে ঘরে প্রবেশ করে না যেখানে কুকুর রয়েছে এবং এমন ঘরেও না যেখানে পশু পাখির ছবি আছে”

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু তালহা থেকে বর্ণিত। [বুখারী কিতাব-বাদআ’ল খালক] ও মুসলিম [মিশকাত:৪২৯০, অধ্যায়: ছবি সম্পর্কে বর্ণনা]