Thursday, June 23, 2011

সংযত দৃষ্টি

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

(হে নবী)আপনি মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গ হেফাযত করে। এটাই তাদের জন্য ভাল পথ নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন। ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২৪:৩০] / সূরা- নূর: আয়াত ৩০

তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোন মাবুদ নেই

প্রতারক ও আত্মসাৎকারী শাসক

أَتَيْنَا ‏ ‏مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ ‏ ‏نَعُودُهُ فَدَخَلَ عَلَيْنَا ‏ ‏عُبَيْدُ اللَّهِ ‏ ‏فَقَالَ لَهُ ‏ ‏مَعْقِلٌ ‏ ‏أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَيَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَحْكَامِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً ‏ ‏فَلَمْ يَنْصَحْ ‏

 যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম জনগণের শাসক নিযুক্ত হয়, অতঃপর সে প্রতারক বা আত্মসাৎকারী হিসেবে মরে, আল্লা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] , [মিশকাত: ৩৫১৭, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

সুস্পষ্ট ক্ষতি

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَىٰ حَرْفٍ ۖ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ ۖ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَىٰ وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। তাঁর দুনিয়াও গেল এবং আখেরাতও ৷ এ হচ্ছে সুস্পষ্ট ক্ষতি
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২২:১১] / সূরা- আল হাজ্ব: আয়াত ১১

নির্বোধ লোকদের মত ঈমান!

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

তাদের যখন বলা হয়, অন্য লোকেরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও ঠিক সেভাবে ঈমান আন, (তখন) তারা (মুনাফিকরা) বলে আমরাও কি নির্বোধ লোকদের মত ঈমান আনবো? (আসলে) নির্বোধ ত হচ্ছে এরা নিজেরাই, যদিও তারা তা বোঝে না (অর্থাৎ নিজেদের তারা বুদ্ধিমান ভেবে অভ্যস্ত)
________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [২:১৩] / সূরা-বাকারা: আয়াত-১৩

নিজেকে পূণ্যবান হিসেবে জাহির করা

و عن زينب بنت ابلىْ سلمه قالت وَسُمِّيتُ ‏ ‏بَرَّةَ ‏ ‏فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْبِرِّ مِنْكُمْ فَقَالُوا بِمَ ‏ ‏نُسَمِّيهَا قَالَ سَمُّوهَا ‏ ‏زَيْنَبَ
_____________________
صحيح مسلم / كِتَاب ‏ ‏الْآدَابِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اسْتِحْبَابِ تَغْيِيرِ ‏ ‏الِاسْمِ الْقَبِيحِ إِلَى حَسَنٍ وَتَغْيِيرِ اسْمِ ‏ ‏بَرَّةَ ‏ ‏إِلَى ‏ ‏زَيْنَبَ ‏ ‏وَجُوَيْرِيَةَ ‏ ‏وَنَحْوِهِمَا

আমার নাম রাখা হয়েছিল ‘বাররা’ (অর্থ-পুণ্যবতী)। তখন রাসূল স. বললেনঃ নিজের পবিত্রতা নিজে জাহির করো না। তোমাদের মধ্যে কে পুণ্যবান তা আল্লাহ তাআলা বেশী জানেন।
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত যয়নব বিন্তে আবু সালামাহ থেকে বর্ণিত।  [মুসলিম] ,  [মিশকাত ৪৪৫০, অধ্যায়ঃ নাম রাখা সম্পর্কে বর্ণনা]

ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ’র কাছে সাহায্য চাওয়া

وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَاقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
হে মুমিনরা! তোমরা ধৈর্য্য নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ’র কাছে সাহায্য চাও  নামায প্রতিষ্ঠা করা নিশ্চয় একটি কঠিন কাজ, কিন্তু যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের কথা আলাদা। যারা জানে, একদিন তাদের সবাইকে তাদের মালিকের সামনাসামনি হতে হবে এবং তাদের সবাইকে তার কাছে ফিরে যেতে হবে।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  কোরআন। সূরা-বাকারা। আয়াত  ৪৫-৪৬

কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া

حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ عِنْدَهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَهُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَبِيعُهُ بِرُخْصٍ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏لَا تَشْتَرِي وَلَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ فَإِنَّ الْعَائِدَ فِي صَدَقَتهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ ‏
_____________________
صحيح بخاري  ‏ ‏بَاب ‏ ‏هَلْ يَشْتَرِي الرَّجُلُ صَدَقَتَهُ ‏ ‏وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ صَدَقَتَهُ غَيْرُهُ ‏ ‏لِأَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّمَا نَهَى الْمُتَصَدِّقَ خَاصَّةً ‏ ‏عَنْ الشِّرَاءِ وَلَمْ يَنْهَ غَيْرَهُ

 আমি আল্লাহর রাস্তায় এক গাজীকে বাহন হিসেবে একটি ঘোড়া দিয়েছিলাম। সে তাকে (সেই ঘোড়াকে) অযত্নে নষ্ট করে ফেলল। আমি তা কিনতে ইচ্ছে করলাম এবং ভাবলাম সে তা সস্তায় বেচে দিবে। তারপর আমি এ ব্যাপারে নবী স. কে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি স. বললেন তা কিনবে না এবং তোমার দান তুমি ফেরত নিবে না- যদিও সে তোমাকে এক দিরহামও ফেরত দেয়। কেননা, নিজের দান ফেরত গ্রহণকারী হল সেই কুকুরের মত যে নিজের বমি ফেরত খায়!” আরেক বর্ণনায় আছে, তুমি তোমার দান ফেরত নিয়ো না। কেননা, যে নিজের দান ফেরত নেয়, সে যেন নিজের বমি ফেরত খায়। 
__________________________________________
তথ্য সূত্র: উমার ইবনে খাত্তাব থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম] , [মিশকাত:১৮৫৮, অধ্যায়: যে নিজের দান ফিরিয়ে নেয় না]

শাসক হওয়ার আকাঙ্খা পোষণকারীকে শাসক নিযুক্ত করা ইসলাম সম্মত নয়

‏دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنَا وَرَجُلَانِ مِنْ بَنِي عَمِّي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِّرْنَا عَلَى بَعْضِ مَا وَلَّاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ الْآخَرُ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ ‏إِنَّا وَاللَّهِ لَا نُوَلِّي عَلَى هَذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهُ وَلَا أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ ‏ صحيح مسلم / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏النَّهْيِ عَنْ طَلَبِ ‏ ‏الْإِمَارَةِ ‏ ‏وَالْحِرْصِ عَلَيْهَا
হযরত আবু মুসা র. বলেন, একবার আমি ও আমার দুজন চাচাত ভাই নবী স. এর কাছে গেলাম। তখন সে দুজনের একজন বলল, হে আল্লাহ’র রাসূল! আল্লাহ আপনাকে যে সব কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনি আমাদেরকেও  তার  মধ্যে হতে কোন একটির শাসক হিসেবে নিযুক্ত করুন। এর পর দ্বিতীয়জনও এক-ই রকম কথা বলল।

উত্তরে রাসূল স. বললেন: 
আল্লাহ’র কসম! আমরা এ কাজে (শাসক পদে)  এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার প্রার্থি হয় এবং ঐ ব্যক্তিকেও না, যে তার (শাসন ক্ষমতার) জন্য লালায়িত। অন্য এক রেওয়াতে আছে, নবী স. বললেন, আমরা আমাদের কোন কাজেই এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ করি না, যে তার আকাঙ্খা করে।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:  বুখারী ও মুসলিম ,  [মিশকাত, ৩৫১৪, অধ্যায়, প্রশাসন ও বিচার পর্ব]

ইনসাফ ও আমানত


إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ ۚ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন তা করবে ন্যায়ইনসাফের  ভিত্তিতে। আল্লাহ তোমাদের মঙ্গলময় উপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
 ___________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪:৫৮] / সূরা-নিসা : আয়াত ৫৮

কঠিন সময়ে সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা

من تمسك بسنتى عند فساذ امتى فله اجر مائت شهيد

যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ে যাবার কালে আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য একশ শহীদের সওয়াব রয়েছে।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র:বায়হাকি, কিতাবুজ-জিহাদ

Thursday, June 9, 2011

কোরআনের অনুসরন ও ধৈর্য

وَاتَّبِعْ مَا يُوحَىٰ إِلَيْكَ وَاصْبِرْ حَتَّىٰ يَحْكُمَ اللَّهُ ۚ وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ

(হে নবী) আপনার উপর যে পথনির্দেশনা (কোরআন) অবতীর্ণ করা হয়েছে আপনি তার অনুসরণ করুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন, যে পর্যন্ত আল্লাহ কোন ফায়সালা না করেন, (কেননা) তিনিই হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারি।
___________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [১০:১০৯] / সূরা-ইউনুস: আয়াত ১০৯


বিপদ ও মৃত্যু কামনা

‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ مِنْ ضُرٍّ أَصَابَهُ فَإِنْ كَانَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتْ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتْ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي
_______________________
   صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمَرْضَى ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏تَمَنِّي الْمَرِيضِ الْمَوْتَ

তোমাদের কেউ যেন তাঁর উপর যে বিপদ আপদ পৌছেছে তার কারণে মৃ্ত্যু কামনা না করে। অগত্যা তা (মৃত্যু কামনা) যদি সে করতেই চায়, তবে সে যেন বলে “ হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখ যে পর্যন্ত জীবন আমার জন্য কল্যানকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যানকর হয়”।
 ________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আনাস থেকে বর্ণীত। [বুখারী, কিতাবূল মারদা] ও [ মুসলিম]


পুণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব

تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿١﴾

পুণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
 ______________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৬৭:০১] / সূরা-মূলক : আয়াত এক

রাসূল স. বললেন “....সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে....”

قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَعَظْتَنَا مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَاعْهَدْ إِلَيْنَا بِعَهْدٍ فَقَالَ ‏ ‏عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا وَسَتَرَوْنَ مِنْ بَعْدِي اخْتِلَافًا شَدِيدًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا ‏ ‏بِالنَّوَاجِذِ ‏ ‏وَإِيَّاكُمْ وَالْأُمُورَ الْمُحْدَثَاتِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
 _____________________
سنن إبن ماجه / ‏كِتَاب ‏ ‏الْمُقَدِّمَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏اتِّبَاعِ سُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ ‏

রাসূল স. আমাদের নামায পড়ালেন। তারপর আমাদের মুখের দিকে মুখ ফিরিয়ে আমাদের জন্য এমন মর্মস্পর্শী নসীহত করলেন যা শুনে আমাদের চোখ অশ্রুসিক্ত ও হৃদয়গুলো বিগলিত হল। এসময় একজন বলে উঠলো “ হে রাসূল আল্লাহ!  এ যেন বিদায় গ্রহণকারীর শেষ নসীহত! আমাদের আরও কিছু নসীহত দিন!” তখন নবী স. বললেন “ তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি এবং (ইমাম বা নেতার কথা) শুনতে ও (তাঁর) অনুগত থাকতে উপদেশ দিচ্ছি, এমনকি সে (ইমাম বা নেতা) যদি হাবশী চাকরও হয়!”

“আমার (মৃত্যুর) পর তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অল্পদিনের মধ্যেই অনেক মতভেদ দেখবে, তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে এবং তা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। অতএব, সাবধান! তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহর বাইরে) নতুন কথা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত-ই পথভ্রষ্টতা
_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া থেকে বর্ণিত। [আহমদ], [আবু দাউদ] , [তিরমিযী ][ ইবনে মাজাহ], [নাসাঈ], [মিশকাত -১৫৮]

যারা মাপে কম দেয়..

وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ ﴿١﴾

ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়।
 __________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৮৩:০১] / সূরা-আল মুতাফ্ফিফিন: আয়াত এক


Tuesday, May 31, 2011

বিদেশি ভাষা শেখার গুরুত্ব

‏أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أَنْ أَتَعَلَّمَ لَهُ كَلِمَاتٍ مِنْ كِتَابِ ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏إِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُ ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏عَلَى كِتَابِي قَالَ فَمَا مَرَّ بِي نِصْفُ شَهْرٍ حَتَّى تَعَلَّمْتُهُ لَهُ قَالَ فَلَمَّا تَعَلَّمْتُهُ كَانَ إِذَا كَتَبَ إِلَى ‏ ‏يَهُودَ ‏ ‏كَتَبْتُ إِلَيْهِمْ وَإِذَا كَتَبُوا إِلَيْهِ قَرَأْتُ لَهُ كِتَابَهُمْ ‏
_____________________
سنن الترميذي / ‏ ‏كِتَاب ‏ ‏الْأَطْعِمَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مَا جَاءَ فِي تَعْلِيمِ ‏ ‏السُّرْيَانِيَّةِ

যায়েদ ইবনে সাবেত থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল স. আমাকে সুরিয়ানী ভাষা শেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য একটি রেওয়াতে আছে- তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আমি ইহুদীদের লিখা (ভাষা) শিখে নেই। তিনি আরও বলেছেনঃ অর্ধেক মাস যেতে না যেতেই আমি তা শিখে ফেললাম। ফলে রাসূল স. যখন-ই ইহুদিদের চিঠি দিতেন তখন আমিই লিখে দিতাম। আর ইহুদীরা যখন তাঁকে চিঠি দিত তখন আমি তা পড়ে শুনাতাম।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: যায়েদ ইবনে সাবেত  . থেকে বর্ণিত। [ তিরমিযী, কিতাবুল আতঈমাহ], [মিশকাত ৪৪৫৪, অধ্যায়: সালাম প্রসঙ্গ]

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবকিছুই আল্লাহ তাআলার তাসবীহ করছে

سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿١﴾

যমীন ও আসমানসমূহের প্রতিটি জিনিস-ই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহা পরাক্রমশালী ও অতিশয় বিজ্ঞ।
 ____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৫৭:০১] / সূরা- আল হাদীদ: আয়াত এক


যে প্রথমে সালাম দেয়

ان اولى الناس بالله من بدأ باسلام
_____________________
رواه احمد ولترمذى وابود اود

রাসূল স.  বলেছেন " সেই ব্যক্তিই আল্লাহ তাআলার বেশি কাছে যে প্রথমে সালাম করে। "
 _____________________________________________
তথ্য সূত্র: থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ], [ তিরমিযী], [আহমেদ], [মিশকাত৪৪৪১, অধ্যায়ঃ সালাম প্রসঙ্গ]

ভ্রাতৃত্ব্ববোধ

‏عَنْ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏لَا يُؤْمِنُ ‏ ‏أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الْإِيمَانِ ‏
‏ ‏بَاب ‏ ‏مِنْ الْإِيمَانِ أَنْ يُحِبَّ لِأَخِيهِ ‏ ‏مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ

নবী স. বলেছেন “ তোমাদের মধ্যে কেউ মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
 ____________________________________________
তথ্য সূত্র: মুসাদ্দাদ র. ও হুসাইন আল মুআল্লিম র. আনাস র. থেকে বর্ণিত। [বুখারী: কিতাবুল ঈমান, পরিচ্ছেদ:  নিজের জন্য যা পছন্দিয় ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করা ঈমানের অংশ, হাদিস  ১২ ]

আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ করার কেউ নেই!

سَوَاءٌ مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ ﴿١٠﴾
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ ﴿١١﴾

তোমাদের মধ্যে কেউ গোপনে কথা বলুক বা তা সশব্দে প্রকাশ করুক, রাতের অন্ধকারে সে আত্নগোপন করুক বা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচরণ করুক, সবাই তাঁর (আল্লাহ তাআলার) কাছে সমান। তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের আগে ও পরে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
___________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [১৩: ১০-১১ ] / সূরা আর রাদ-: আয়াত দশ থেকে এগারো


দুটি অভিশপ্ত কাজ!

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏اتَّقُوا اللَّاعِنَيْنِ قَالُوا وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي ‏ ‏يَتَخَلَّى ‏ ‏فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‏
_____________________
سنن أبي داؤود / ‏كِتَاب ‏ ‏الطَّهَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الْمَوَاضِعِ الَّتِي نَهَى النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏عَنْ الْبَوْلِ فِيهَا ‏
  
নবী স. বলেছেনঃ তোমরা এমন দুটো কাজ থেকে বিরত থাক যা অভিশপ্ত। সাহাবীরা প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহ’র রাসূল কাজ দুটো কী?
যে ব্যক্তি (১) মানুষের চলচলের পথে কিংবা () ছায়াযুক্ত স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করে।
 __________________________________________
তথ্য সূত্র: কুতাইবা ইবনে সাইদ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ: অধ্যায়: কিতাবুত্তাহারাত, অনুচ্ছেদ:১৪, হাদিস নম্বর ২৫] [মুসলিম]

......বরং তিনি (আল্লাহ) তোমাদের হৃদয় ও আমল দেখেন

‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّ اللَّهَ
لَا يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى
قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ
‏_____________________
*تحقيق رياض اصا لحين***
রাসূল স. বলেছেন “ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের শরীর এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন
না, বরং তিনি তোমাদের হৃদয় ও আমল দেখেন। ”

*_____________________________________________*

*তথ্য সূত্র: আবু হুরাইরাই আব্দুর রহমান বিন সাখর থেকে বর্ণিত।** [তাহকীক,
রিয়াযুস-স্বালিহীন], [বুখারী], [মুসলিম], [তিরমিযী], [নাসাঈ], [আবু দাউদ], [ইবনু
মাজাহ], [আহমাদ], [মালিক] *

যাদের সবকিছু ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে

الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ أَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ ﴿١﴾

যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে বাধা দিয়েছে  আল্লাহ তাদের সমস্ত কাজ-কর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন।
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪৭:০১] / সূরা-মুহাম্মদ : আয়াত এক


আমরা যখন মরে একেবারে মাটি হয়ে যাবো এবং থেকে যাবে শুধুমাত্র হাড়ের পিঞ্জর তখন আমাদের আবার জীবিত করে উঠানো হবে, এমনও কি কখনো হতে পারে ?

أَإِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَإِنَّا لَمَبْعُوثُونَ ﴿١٦﴾ أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ ﴿١٧﴾ قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ ﴿١٨﴾ فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ ﴿١٩﴾ وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَٰذَا يَوْمُ الدِّينِ ﴿٢٠﴾

(তাঁরা বলে) আমরা যখন মরে একেবারে মাটি হয়ে যাবো এবং থেকে যাবে শুধুমাত্র হাড়ের পিঞ্জর তখন আমাদের আবার জীবিত করে উঠানো হবে, এমনও কি কখনো হতে পারে ? আর আমাদের পূর্ব-পুরুষদেরকেও কি উঠানো হবে?”

(হে মুহাম্মদ) এদেরকে বলো, হ্যাঁ, এবং তোমরা (আল্লাহর মোকাবিলায়) অসহায়। ব্যস, একটিমাত্র বিকট ধমক হবে এবং সহসাই এরা স্বচক্ষে (সেই সবকিছু যার খবর দেয়া হচ্ছে) দেখতে থাকবে। সে সময় এরা বলবে, হায়! আমাদের দুর্ভাগ্য, এতো প্রতিফল দিবস।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৩৭: ১৬-২০] / সূরা- আস সাফফাত: আয়াত ষোল থেকে বিশ


অহংকার ও অনিবার্য পতন

كَانَ لِلنَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏نَاقَةٌ تُسَمَّى الْعَضْبَاءَ لَا تُسْبَقُ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏حُمَيْدٌ ‏ ‏أَوْ لَا تَكَادُ تُسْبَقُ ‏ ‏فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى ‏ ‏قَعُودٍ ‏ ‏فَسَبَقَهَا فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حَتَّى عَرَفَهُ فَقَالَ ‏ ‏حَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ لَا يَرْتَفِعَ شَيْءٌ مِنْ الدُّنْيَا إِلَّا وَضَعَهُ
_____________________
صحيح بخاري / كِتَاب ‏ ‏الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏نَاقَةِ النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏ابْنُ عُمَرَ ‏ ‏أَرْدَفَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏أُسَامَةَ ‏ ‏عَلَى الْقَصْوَاءِ ‏ ‏وَقَالَ ‏ ‏الْمِسْوَرُ ‏ ‏قَالَ النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مَا ‏ ‏خَلَأَتْ ‏ ‏الْقَصْوَاءُ ‏


রাসূল স. এর ‘আযবা’ নামের একটি উট ছিল। কোন উট-ই তাকে পেছনে ফেলতে পারত না। এক সময় একজন গ্রাম্য আরব তাঁর উটের পিঠে চড়ে আসল এবং রাসূল স. এর উটনীকে পেছনে ফেলে আগে চলে গেল। এই অবস্থা মুসলমানদের জন্য মনস্তাপের কারণ হয়। তখন রাসূল স. বললেন: আল্লাহ তাআলার নির্ধারণ করে রেখেছেন, পৃথিবীর যেই জিনিস-ই (অহংকারে) সমুন্নত হয়, তাকে আল্লাহ অবনত করে দেন।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: বুখারী- হযরত আনাস থেকে বর্ণিত। [বুখারী, কিতাবুল জিহাদি ওয়াস সিয়া] [মিশকাত-৩৬৯৫]

দুর্গম গিরিপথ

فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ ﴿١١﴾ وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ ﴿١٢﴾ فَكُّ رَقَبَةٍ ﴿١٣﴾ أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ ﴿١٤﴾ يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ ١٥﴾
أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ ﴿١٦﴾ ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ ﴿١٧﴾

কিন্তু সে দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করার সহস করেনি। তুমি কী জানো সেই দুর্গম গিরিপথটি কি ? কোন গলাকে দাসত্বমুক্ত করা অথবা অনাহারের দিন কোন নিকটবর্তী এতিম বা ধূলি মলিন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো।

তারপর ( এই সংগে ) তাদের মধ্যে শামিল হওয়া যারা ঈমান এনেছে  এবং যারা পরস্পরকে সবর ও ( আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ) রহম করার উপদেশ দেয় 


____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৯০: ১১-১৭] / সূরা- আল বালাদ: আয়াত- এগারো থেকে সতেরো

একজন নবী স. কে প্রশ্ন করলো “আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো?”

أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ أَرَأَيْتَ ‏ ‏إِذَا صَلَّيْتُ الصَّلَوَاتِ ‏ ‏الْمَكْتُوبَاتِ ‏ ‏وَصُمْتُ رَمَضَانَ وَأَحْلَلْتُ الْحَلَالَ وَحَرَّمْتُ الْحَرَامَ وَلَمْ أَزِدْ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا أَأَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَالَ نَعَمْ قَالَ وَاللَّهِ لَا أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا ‏
_____________________
صحيح مسلم / كتاب الإيمان‏ ‏بَاب ‏ ‏بَيَانِ الْإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةَ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏

একজন নবী স. কে প্রশ্ন করলো, আপনার মত যদি আমি সব ফরয নামাযগুলো পড়ি, রমযানের রোযা রাখি, হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করি আর হারামকে হারাম জেনে ছেড়ে দেই এবং এর বেশি কিছু না করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো?

তিনি নবী স. বললেন “ হ্যা”তারপর লোকটি বলল, শপথ আল্লাহ’র, আমি এর ওপর নিজের পক্ষ থেকে কিছু বাড়াবনা।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: জাবির থেকে বর্ণিত।  [মুসলিম: অধ্যায়- কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ- : যে ঈমানের বদলে জান্নাতে যাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহ তাআলার) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরেছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে  , হাদিস নম্বর- ১৮]

সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে?

وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّن يَدْعُو مِن دُونِ اللَّهِ مَن لَّا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَن دُعَائِهِمْ غَافِلُونَ ﴿٥﴾

সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্তাকে ডাকে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয়  এমনকি আহবানকারী যে তাকে আহবান করছে সে বিষয়েও সে অজ্ঞ
____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৪৬:০৫] / সূরা- আহকাফ: আয়াত- ৫


নবী স. ব্যক্তিগতভাবে পিঁয়াজ অপছন্দ করতেন

من اكل من هذه اشجرة فلا يقرب مساجدنا يؤذينا بريح اثوم
_____________________


রাসূল স. বলেছেন “ যে এই উদ্ভিদ  থেকে খায় সে আমাদের মসজিদগুলোর কাছে যেন না আসে, পিঁয়াজের গন্ধ আমাদের কষ্ট দিবে

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব থেকে বর্ণিত। [মুয়াত্তা ইবনে মালিকঃ  অধ্যায়ঃ নামাযের সময়, রেওয়াত ৩০, পরিচ্ছেদঃ৮]

অভিশপ্ত কাজ!

‏أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏اتَّقُوا اللَّاعِنَيْنِ قَالُوا وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي ‏ ‏يَتَخَلَّى ‏ ‏فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ ‏
_____________________
سنن أبي داؤود / ‏كِتَاب ‏ ‏الطَّهَارَةِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏الْمَوَاضِعِ الَّتِي نَهَى النَّبِيُّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏عَنْ الْبَوْلِ فِيهَا ‏


নবী স. বলেছেনঃ তোমরা এমন দুটো কাজ থেকে বিরত থাক যা অভিশপ্ত। সাহাবীরা প্রশ্ন করলোঃ হে আল্লাহ’র রাসূল কাজ দুটো কী?
যে ব্যক্তি (১) মানুষের চলচলের পথে কিংবা () ছায়াযুক্ত স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: কুতাইবা ইবনে সাইদ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। [আবু দাউদ: অধ্যায়: কিতাবুত্তাহারাত, অনুচ্ছেদ:১৪, হাদিস নম্বর ২৫] [মুসলিম]

লোকটি বলল “হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনার-ই, চোর ব্যভিচারিণী ও ধনী ব্যক্তির হাতে গিয়ে (সাদকা) পড়লো!!”

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏قَالَ رَجُلٌ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدِ سَارِقٍ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ عَلَى سَارِقٍ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدَيْ زَانِيَةٍ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ اللَّيْلَةَ عَلَى زَانِيَةٍ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ عَلَى زَانِيَةٍ لَأَتَصَدَّقَنَّ بِصَدَقَةٍ فَخَرَجَ بِصَدَقَتِهِ فَوَضَعَهَا فِي يَدَيْ غَنِيٍّ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ تُصُدِّقَ عَلَى غَنِيٍّ فَقَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ عَلَى سَارِقٍ وَعَلَى زَانِيَةٍ وَعَلَى غَنِيٍّ فَأُتِيَ فَقِيلَ لَهُ أَمَّا صَدَقَتُكَ عَلَى سَارِقٍ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعِفَّ عَنْ سَرِقَتِهِ وَأَمَّا الزَّانِيَةُ فَلَعَلَّهَا أَنْ تَسْتَعِفَّ عَنْ زِنَاهَا وَأَمَّا الْغَنِيُّ فَلَعَلَّهُ يَعْتَبِرُ فَيُنْفِقُ مِمَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الزَّكَاةِ ‏ ‏بَاب ‏ ‏إِذَا تَصَدَّقَ عَلَى غَنِيٍّ وَهُوَ لَا يَعْلَمُ

এক ব্যক্তি বলল, আমি কিছু সদকা করব। সাদকা নিয়ে বের হয়ে সে এক চোরের হাতে তা দিয়ে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগলো, চোরকে সাদকা দেয়া হয়েছে। এতে সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার-ই, আমি অবশ্যই সদকা করব। (অতঃপর সে) সাদকা নিয়ে বের হয়ে তা এক ব্যভিচারিণীর হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগল, রাতে এক ব্যভিচারিণীকে সাদকা দেয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার-ই, (আমার সাদকা) ব্যভিচারিণীর হাতে পৌঁছল! আমি অবশ্যই সাদকা করব। এরপর সাদকা নিয়ে বের হয়ে কোন এক ধনী ব্যক্তির হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলতে লাগলো, ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দেয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সব প্রশংসা আপনার-, চোর, ব্যভিচারিণী ও ধনী ব্যক্তির হাতে গিয়ে (সাদকা) পড়লো!

পরে স্বপ্নযোগে তাকে বলা হলো, তোমার সাদকা চোর পেয়েছে, সম্ভবত সে চুরি করা থেকে বিরত থাকবে, তোমার সাদকা ব্যভিচারিণী পেয়েছে সম্ভবত এজন্য যে, সে তার ব্যভিচার থেকে পবিত্র থাকবে আর ধনী ব্যক্তি তোমার সাদকা পেয়েছে, সম্ভবত সে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ থেকে সাদকা করবে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: আবুল ইয়ামান.. আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। [ সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ যাকাত, পরিচ্ছেদঃ  সাদকাদাতা অজান্তে কোন ধনী ব্যক্তিকে সাদকা দিলে]

কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া

‏حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ
عِنْدَهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَهُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَبِيعُهُ بِرُخْصٍ
فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَقَالَ ‏ ‏لَا
تَشْتَرِي وَلَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ فَإِنَّ
الْعَائِدَ فِي صَدَقَتهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ ‏

_____________________

*صحيح بخاري* * ‏*‏ ‏بَاب ‏ ‏هَلْ يَشْتَرِي الرَّجُلُ صَدَقَتَهُ ‏ ‏وَلَا
بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ صَدَقَتَهُ غَيْرُهُ ‏ ‏لِأَنَّ النَّبِيَّ ‏ ‏صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏إِنَّمَا نَهَى الْمُتَصَدِّقَ خَاصَّةً ‏ ‏عَنْ
الشِّرَاءِ وَلَمْ يَنْهَ غَيْرَهُ ‏

* *



আমি আল্লাহ’র রাস্তায় এক গাজীকে বাহন হিসেবে একটি ঘোড়া দিয়েছিলাম। সে তাকে (সেই
ঘোড়াকে) অযত্নে নষ্ট করে ফেলল। আমি তা কিনতে ইচ্ছে করলাম এবং ভাবলাম সে তা
সস্তায় বেচে দিবে। তারপর আমি এ ব্যাপারে নবী স. কে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি স. বললেন
“ তা কিনবে না এবং তোমার দান তুমি ফেরত নিবে না- যদিও সে তোমাকে এক দিরহামও
ফেরত দেয়। কেননা, *নিজের দান ফেরত গ্রহণকারী হল* *সেই কুকুরের মত* যে *নিজের
বমি ফেরত খায়*!” আরেক বর্ণনায় আছে, তুমি তোমার দান ফেরত নিবে না। কেননা, যে
নিজের দান ফেরত নেয়, সে যেন নিজের বমি ফেরত খায়।

* *

*_____________________________________________*

*তথ্য সূত্র: উমার ইবনে খাত্তাব থেকে বর্ণিত। **[বুখারী] ও [মুসলিম] ,
[মিশকাত:১৮৫৮,
অধ্যায়: যে নিজের দান ফিরিয়ে নেয় না]***

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই রক্ষা করবেন

إِنَّ مَا تُوعَدُونَ لَآتٍ ۖ وَمَا أَنتُم بِمُعْجِزِينَ ﴿١٣٤﴾

তোমাদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই আসবে, আর তোমরা (আল্লাহ তাআলাকে) ব্যর্থ করে দেবার ক্ষমতা রাখ না।

____________________________________________________________________
তথ্য সূত্র: কোরআন [৬:১৩৪] / সূরা-আল আনআম: আয়াত ১৩৪


রাসূল স. বললেন “ সে শান্তি লাভ করল অথবা তাঁর থেকে শান্তি পাওয়া গেল। ”

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏مُرَّ عَلَيْهِ بِجِنَازَةٍ فَقَالَ ‏ ‏مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْمُسْتَرِيحُ وَالْمُسْتَرَاحُ مِنْهُ قَالَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِنْ ‏ ‏نَصَبِ ‏ ‏الدُّنْيَا وَأَذَاهَا إِلَى رَحْمَةِ اللَّهِ وَالْعَبْدُ الْفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ مِنْهُ الْعِبَادُ وَالْبِلَادُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ ‏
_____________________
صحيح بخاري / ‏كِتَاب ‏ ‏الرِّقَاقِ ‏‏ ‏بَاب ‏ ‏سَكَرَاتِ الْمَوْتِ

একবার হযরত মুহাম্মদ স. এর কাছ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হল। তখন রাসূল স. বললেন সে শান্তি লাভ করল অথবা তাঁর থেকে শান্তি লাভ করা গেল।

সাহাবীরা প্রশ্ন করল ইয়া আল্লাহর রাসূল! কে শান্তি লাভ করে আর কার কাছ থেকে শান্তি লাভ করা যায়?

নবী স. বললেন মুমিন বান্দা পৃথিবীর দুঃখ কষ্ট হতে আল্লাহর রহমতের আশ্রয়ে শান্তি লাভ করেআর কাফের বান্দা হতে আল্লাহ’র বান্দারা, দেশ, গাছপালা ও পশু পাখিরা শান্তি লাভ করে।

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: হযরত আবু কাতাদা আনসারী থেকে বর্ণিত[বুখারী, কিতাবুর-রিকাক][মুসলিম] [মিশকাত: ১৫১৫, অধ্যায়: মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুর স্মরণ]