Tuesday, May 31, 2011

তাঁর পরনের কাপড় ছিল ধবধবে সাদা আর মাথার চুলগুলো ছিল মিশ্ কালো

ثُمَّ ‏ ‏قَالَ حَدَّثَنِي ‏ ‏أَبِي ‏ ‏عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا ‏ ‏مُحَمَّدُ ‏ ‏أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ ‏ ‏مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏ ‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ ‏وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ ‏ ‏الْبَيْتَ ‏ ‏إِنْ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلًا قَالَ صَدَقْتَ قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ الْإِيمَانِ قَالَ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ قَالَ صَدَقْتَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ الْإِحْسَانِ قَالَ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ السَّاعَةِ قَالَ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنْ السَّائِلِ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ ‏ ‏أَمَارَتِهَا ‏ ‏قَالَ أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ ‏ ‏رَبَّتَهَا ‏ ‏وَأَنْ ‏ ‏تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ ‏ ‏الْعَالَةَ ‏ ‏رِعَاءَ الشَّاءِ ‏ ‏يَتَطَاوَلُونَ ‏ ‏فِي الْبُنْيَانِ قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ‏ ‏مَلِيًّا ‏ ‏ثُمَّ قَالَ لِي يَا ‏ ‏عُمَرُ ‏ ‏أَتَدْرِي مَنْ السَّائِلُ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهُ ‏ ‏جِبْرِيلُ ‏ ‏أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏
 _____________________
صحيح مسلم / كتاب الإيمان باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان

একদিন আমরা রাসূল স. এর কাছে ছিলাম। এমন সময় আমাদের চোখে পড়ল সাদা ধবধবে কাপড় ও মিশমিশে কাল চুলওয়ালা একজন লোক  তাঁর মধ্যে ভ্রমণের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, অথচ আমাদের মধ্যে কেউ তাঁকে চিনতেও পারছিল না। এমনকি তিনি নবী স. এর কাছে এসে বসলেন। তারপর নবী স. এর দুই হাঁটুর সাথে নিজের দুই হাঁটু মিলিয়ে তাঁর দুহাত (নিজের অথবা নবী স. এর) উরুর উপর রেখে প্রশ্ন করলেন হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন- (ইসলাম কী?)

নবী স. উত্তরে বললেন আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ স. তাঁর রাসূল এ ঘোষণা করবে, নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা রাখবে এবং যদি তুমি সেখানে(মক্কায়) যেতে সমর্থ হও তাহলে বায়তুল্লাহর হজ্ব করবে- এই হল ইসলাম। তিনি(আগন্তুক) বললেন 'সত্য বলেছেন।'

তাঁর (আচরণে) আমরা অবাক হলাম (কারণ) - (আগন্তুক ব্যক্তিটি অজ্ঞ লোকের মত) প্রশ্নও করছেন আবার (বিজ্ঞের মত) তার সমর্থনও করছেন!

তারপর (আগন্তুক) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে বলুন ঈমান কাকে বলে?

নবী স. উত্তর দিলেনঃ আল্লাহকে বিশ্বাস করবে এবং তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর কিতাবগুলোকে, তাঁর নবী-রাসূলদের, ও বিশ্বাস করবে পরকালে এবং তাকদিরে- তার ভাল এবং মন্দে- বিশ্বাস করবে। তিনি (আগন্তুক) বললেনঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। এখন আমাকে বলুন! ‘ইহসানকাকে বলে? নবী স. বললেনঃ আল্লাহর ইবাদত ঐভাবে করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে দেখতে না-ও পাও, তা হলে (মনে করবে যে) তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেনঅতঃপর (আগন্তুক) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে বলুন কিয়ামত সম্পর্কে (তা কবে হবে?)নবী স. উত্তর দিলেনঃ এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে বেশি জানেন না। তিনি (আগন্তুক) বললেন, তবে তার নিদর্শনগুলো (লক্ষণগুলো) আমায় বলে দিন। নবী স. বললেন "দাসি নিজের মনিবকে প্রসব করবে এবং (এক কালের) নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর, দরিদ্র, মেষ চারকদের (পরবর্তীকালে) দালান-কোঠা নিয়ে একজন আরেকজনের সাথে গর্ব করতে দেখবে!" (বর্ণনাকারী উমর র.) বলেনঃ এরপর লোকটি চলে গেলেআমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর নবী স. আমাকে বললেনঃ উমর! তুমি কি চিনলে প্রশ্নকারী লোকটি কে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই অধিক  জ্ঞাত।

নবী স. বললেনঃ তিনি হচ্ছেন হযরত জিব্রাইল। তোমাদেরকে দ্বীন (ইসলাম) শেখাবার জন্য তোমাদের কাছে এসেছিলেন।

_________ইমাম মুসলিম এটি হযরত উমর থেকে রেওআত করেছেন। কিন্তু সামান্য শাব্দিক পরিবর্তনের সাথে এই হাদিসটি আবু হুরায়রা র. থেকেও বর্ণিত হয়েছে এবং তাতে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- যখন নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর ও মূক-বধিরদের (অর্থাৎ অযোগ্য লোকদের) দেশের রাজা বা শাসক হতে দেখবে। (আর কেয়ামত) সেই পাঁচটি বিষয়ের অন্তর্গত  যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তারপর তিনি পাঠ করলেন এই আয়াতটি
   ان الله عنده علم الساعه وينزل الغيث(সুরা লোকমান:আয়াত ২৬)

_____________________________________________
তথ্য সূত্র: উমর ইবনুল খাত্তার র. থেকে বর্ণিত। [বুখারী][মুসলিম, কিতাবুল ঈমান], [মিশকাত:২, অধ্যায় ঈমান]

No comments:

Post a Comment